ট্রুথ সোশ্যাল-এ যোগ দিলেন মোদী, প্রথম পোস্টে বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে পুরনো ছবি শেয়ার
Published: 18th, March 2025 GMT
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ যোগ দিয়েছেন। তিনি বিশ্বের কয়েকজন শীর্ষ নেতার মধ্যে একজন যিনি এই প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।
সোমবার প্রথম পোস্টে মোদি ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় হিউস্টনে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেন, যেখানে তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তিনি লিখেছেন, আমি ট্রুথ সোশ্যাল-এ যোগ দিতে পেরে আনন্দিত।
ট্রাম্প ২০২২ সালে ট্রুথ সোশ্যাল চালু করেন, মূলত টুইটার ও ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এটি তার বিকল্প যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে ওঠে। ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের (TMTG) মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম ২০২৪ সালের মার্চে পাবলিক শেয়ার মার্কেটে আসে এবং বর্তমানে ট্রাম্পের এর ৫৭% শেয়ার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির অ্যাকাউন্ট থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে ফলো করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৩:৩০ পর্যন্ত মোদির ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ২১,৫০০।
একই দিনে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে মোদির এক সাক্ষাৎকারের লিংক শেয়ার করেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি তার জীবনযাত্রা, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা এবং চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন।
ট্রুথ সোশ্যালের কার্যকারিতা অনেকটাই টুইটারের মতো। এখানে পোস্টকে ‘ট্রুথ’ ও শেয়ারকে ‘রিট্রুথ’ বলা হয়, এবং বিজ্ঞাপনকে বলা হয় ‘স্পনসর্ড ট্রুথ’।
তবে ট্রুথ সোশ্যাল-এর জনপ্রিয়তা এখনো X (সাবেক টুইটার)-এর তুলনায় অনেক কম। ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, প্ল্যাটফর্মটির ট্রাফিক X-এর তুলনায় ৪০০ গুণ কম। ২০২৪ সালে TMTG-এর রাজস্ব ছিল মাত্র ৩.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল-এ ৯.২৮ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে, যা X-এ থাকা তার ৮৭ মিলিয়ন ফলোয়ারের তুলনায় অনেক কম।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ