গ্রেপ্তার আরাকান আর্মির ৪ সদস্যসহ ১০ জনের নামে দুই মামলা
Published: 19th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চার সদস্যসহ ১০ জনের নামে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১২ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০ লাখ টাকা জব্দ দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে র্যাব ১১-এর সুবেদার হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দুইটি করেন। থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- হাসান, আসমাউল হোসনা, শাহিদ, শাহিনা, সোনোয়ারা, আতাউল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, মনিরুজ্জামান, সলিমুল্লাহ ও আসমতউল্লাহ।
আরো পড়ুন:
চার বছরের সাজা নিয়ে ছিলেন পলাতক, ধরা পড়লেন ইয়াবাসহ
হাতকড়া খুলে পালানো সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
এর আগে, গত সোমবার মধ্যরাত পৌনে ৩টার দিকে নগরীর নতুন বাজার মোড়ের গার্ডেন সিটি নামে একটি বহুতল ভবনের ১০ তলার এ ব্লক থেকে দুই শিশুসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।
ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “চারজনকে ময়মনসিংহ ও ছয়জনকে নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করছিলেন। আসামিরা নারায়ণগঞ্জ রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।