শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কাসহ আইপিএলের উদ্বোধনীতে মাঠে থাকছেন যারা
Published: 19th, March 2025 GMT
বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হতে যাচ্ছে ২২ মার্চ থেকে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে এবারের আসর। আর প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানের সন্ধ্যাকে রঙিন করতে প্রস্তুত বলিউড তারকারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, আইপিএলের উদ্বোধনীতে শাহরুখ খানের পাশাপাশি হাজির থাকতে চলেছেন সালমান খানও! এছাড়া প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ভিকি কৌশল এবং সঞ্জয় দত্তও সেদিন উপস্থিত থাকবেন ইডেন গার্ডেনে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শাহরুখ খান তার দল কেকেআর-এর সমর্থনে উপস্থিত থাকবেন, অন্যদিকে সালমান খান তার আসন্ন সিনেমা ‘সিকান্দার’-এর প্রচার করতে আসছেন।
অনুষ্ঠানে ক্যাটরিনা কাইফ, অনন্যা পাণ্ডে, মাধুরী দীক্ষিত, জাহ্নবী কাপুর, কারিনা কাপুর, পূজা হেগড়ে, আয়ুষ্মান খুরানা, সারা আলি খানের মতো তারকারাও উপস্থিতি হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এর আগেই জানা গিয়েছিল এবারের আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, দিশা পাটানি, শ্রদ্ধা কাপুর এবং বরুণ ধাওয়ান পারফর্ম করবেন। জনপ্রিয় মার্কিনি পপ ব্যান্ড ওয়ান রিপাবলিক ব্যান্ডটি করণ অউজলা এবং দিশা পাটানির সঙ্গে পারফর্ম করবে। অনুষ্ঠানে ক্রিকেটের একাধিক কিংবদন্তি তারকাও হাজির থাকবেন।
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, করণ অউজলা, দিশা পাটানি, শ্রদ্ধা কাপুর ও বরুণ ধাওয়ান পারফর্ম করবেন। ওয়ান রিপাবলিক পারফর্ম করবে করণ অউজলা ও দিশা পাটানির সঙ্গে।
এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ১০টি দল-চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, গুজরাট টাইটান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, পাঞ্জাব কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মোট ৭৪টি ম্যাচ ১৩টি ভেন্যুতে খেলবে দলগুলো। আইপিএলের গ্র্যান্ড ফাইনাল হবে আগামী ২৫ মে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অর জ ৎ স প রফর ম করব অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি