বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হতে যাচ্ছে ২২ মার্চ থেকে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে এবারের আসর। আর প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানের সন্ধ্যাকে রঙিন করতে প্রস্তুত বলিউড তারকারা।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, আইপিএলের উদ্বোধনীতে শাহরুখ খানের পাশাপাশি হাজির থাকতে চলেছেন সালমান খানও! এছাড়া প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ভিকি কৌশল এবং সঞ্জয় দত্তও সেদিন উপস্থিত থাকবেন ইডেন গার্ডেনে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শাহরুখ খান তার দল কেকেআর-এর সমর্থনে উপস্থিত থাকবেন, অন্যদিকে সালমান খান তার আসন্ন সিনেমা ‘সিকান্দার’-এর প্রচার করতে আসছেন।

অনুষ্ঠানে ক্যাটরিনা কাইফ, অনন্যা পাণ্ডে, মাধুরী দীক্ষিত, জাহ্নবী কাপুর, কারিনা কাপুর, পূজা হেগড়ে, আয়ুষ্মান খুরানা, সারা আলি খানের মতো তারকারাও উপস্থিতি হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
 
এর আগেই জানা গিয়েছিল এবারের আইপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, দিশা পাটানি, শ্রদ্ধা কাপুর এবং বরুণ ধাওয়ান পারফর্ম করবেন। জনপ্রিয় মার্কিনি পপ ব্যান্ড ওয়ান রিপাবলিক ব্যান্ডটি করণ অউজলা এবং দিশা পাটানির সঙ্গে পারফর্ম করবে। অনুষ্ঠানে ক্রিকেটের একাধিক কিংবদন্তি তারকাও হাজির থাকবেন।

আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, করণ অউজলা, দিশা পাটানি, শ্রদ্ধা কাপুর ও বরুণ ধাওয়ান পারফর্ম করবেন। ওয়ান রিপাবলিক পারফর্ম করবে করণ অউজলা ও দিশা পাটানির সঙ্গে।

এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ১০টি দল-চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, গুজরাট টাইটান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স, লক্ষ্‌ণৌ সুপার জায়ান্টস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, পাঞ্জাব কিংস, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মোট ৭৪টি ম্যাচ ১৩টি ভেন্যুতে খেলবে দলগুলো। আইপিএলের গ্র্যান্ড ফাইনাল হবে আগামী ২৫ মে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অর জ ৎ স প রফর ম করব অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ