বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ তুরস্কের ইস্তাম্বুল সফরে দেশটির সংসদ সদস্য দোয়ান বেকিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় উভয়ে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। 

শনিবার রাতে সাক্ষাৎ এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

তুর্কি এমপি দোয়ান বেকিন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে তাড়িয়েছেন এবার ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে গড়ুন। 
 
এসময় তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। 

দোয়ান বেকিন আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অবিলম্বে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়ে বিমানবন্দরে লাখো জনতার গণসংবর্ধনা দেখে অবাক হয়ে তুর্কী এমপি দোয়ান বেকিন এই বিএনপি নেতার নির্বাচনী আসন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগরে আসার আশা প্রকাশ করেন। 

এ সময় কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রশংসনীয় শাসন ও খালেদা জিয়ার যোগ্য নেতৃত্বের বর্ণনা দেন এবং আওয়ামী লীগের মিথ্যা মামলার কারণে তুরস্ক থাকাকালীন সময়ে তুর্কী এমপি দোয়ান বেকিনের আন্তরিক ভালবাসা এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় তুরস্ক এবং তুরস্কের এই এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আল্লাহর দয়ায় যখন তুরস্কে আসলাম তখন আমার এ বন্ধু তুর্কি এমপি দোয়ান বেকিন আমাকে সঙ্গ দিয়েছেন। তার প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুক এবং আরও সম্মানিত করুক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র ত রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের ৭২০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তেহরানে অন্তত ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে রাতভর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ডজনখানেক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে টানা তৃতীয় দিনে এ হামলা চালানো হলো। খবর বিবিসির

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা বলে দাবি করা হয়েছে।

রয়টার্স এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল দুটি ‘দ্বৈত-ব্যবহারের’ জ্বালানি কেন্দ্র। ওই জ্বালানি কেন্দ্র সামরিক ও পারমাণবিক কাজে ব্যবহার করা হতো।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে তিন দিনের কম সময়ের মধ্যে তারা ইরানের ১৭০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরানের ৭২০টির মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ