ভূমিকম্প: মিয়ানমারে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল
Published: 30th, March 2025 GMT
ভূমিকম্পে বিপর্যয়ের মুখে পড়া মিয়ানমারে উদ্ধার কাজে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল দেশটিতে যাচ্ছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, রবিবার (৩০ মার্চ) মিয়ানমার যাবে সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল। উদ্ধার কাজের পাশাপাশি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও মেডিকেল সহায়তা দেবে দলটি।
শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রা ভূমিকম্প ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়ের ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে।
এতে মান্দালয়, সাগাইং ও ইয়াংগনের পাশাপাশি রাজধানী নেপিদোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সামরিক বাহিনী।
শনিবার আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার ও মেডিকেল সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ বিমানে রবিবার মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল।”
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস আশঙ্কা করছে।
মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখানেও অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একটি বহুতল ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে কয়েক ডজন শ্রমিক।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সশস ত র ব হ ন র ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান
রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে চালানো এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অভিযান এখনো চলছে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বহু ধারার উল্লেখ ছিল—এর কিছু বাস্তবায়ন করা হয়, আর বাকিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের অভিযোগ, চুক্তির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ধারা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এই চুক্তির বিরোধিতা করেই ১৯৯৮ সালের জুনে আত্মপ্রকাশ করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটি মূলত চুক্তিবিরোধী অবস্থান নিয়ে পাহাড়ি তরুণদের মধ্যে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে।
এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দুই সংগঠনের সংঘর্ষে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী নিহত হন, আর সশস্ত্র সহিংসতায় পাহাড়জুড়ে বিরাজ করে আতঙ্ক।
২০১০ সালে জেএসএসের মূল ধারা (সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন) থেকে একটি অংশ বেরিয়ে এসে জেএসএস (এম এন লারমা) নামে নতুন একটি সংগঠন গঠন করে।
পরে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের পর প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন মূল সংগঠন থেকে আলাদা হয়ে আরেকটি অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আত্মপ্রকাশ করে।
ঢাকা/হাসান/ইভা