ভূমিকম্পে বিপর্যয়ের মুখে পড়া মিয়ানমারে উদ্ধার কাজে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল দেশটিতে যাচ্ছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, রবিবার (৩০ মার্চ) মিয়ানমার যাবে সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল। উদ্ধার কাজের পাশাপাশি ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী ও মেডিকেল সহায়তা দেবে দলটি।

শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রা ভূমিকম্প ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়ের ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে।

এতে মান্দালয়, সাগাইং ও ইয়াংগনের পাশাপাশি রাজধানী নেপিদোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সামরিক বাহিনী।

শনিবার আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার ও মেডিকেল সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ বিমানে রবিবার মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল।”

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস আশঙ্কা  করছে। 

মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখানেও অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একটি বহুতল ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে কয়েক ডজন শ্রমিক।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সশস ত র ব হ ন র ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত