জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত শিশু বাসিত খান মুসা (৭) সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছে। ৫ মাস ১২ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার মা–বাবার সঙ্গে দেশে ফিরছে সে। অত্যন্ত সংকটাপন্ন মুসাকে নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদনের পর গত ২২ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠায় সরকার।

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে দীর্ঘ সময় ধরে তার চিকিৎসা হয়েছে। মুসার ডান পাশ এখনো প্যারালাইজড। সে এখন কিছুটা সাহায্য নিয়ে নিজে থেকে বসে থাকতে পারে। নিজে নিজে খেলে। লোকজনকে দেখলে হাসে। চিকিৎসকেরা মুসার মা–বাবাকে জানিয়েছেন, মুসার মাথায় গুলি রয়ে গেছে। এ কারণে যেকোনো সময় তার সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই তাকে সাবধানে রাখতে হবে।

মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামনি দম্পতির একমাত্র সন্তান বাসিত খান মুসা। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় মেরাদিয়া হাট এলাকায় নিজ বাসার নিচে মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে নেমে দাদি মায়া ইসলাম (৬০) ও মুসা গুলিবিদ্ধ হয়। মায়া ইসলাম পরদিন মারা যান। মালিবাগে মুসার বাবা ও দাদার ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকান রয়েছে। 

মুসার মা নিশামনি গতকাল বুধবার হোয়াটসঅ্যাপ কলে প্রথম আলোকে জানান, বৃহস্পতিবার (আজ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তাঁরা দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ঢাকায় পৌঁছাবেন রাত ১১টার দিকে। ঢাকায় ফেরার পরপরই মুসাকে নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। মুসাকে তিন মাসের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। বাসায় নিলে সেভাবে ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে মুসাকে কেউ যেন দেখতে না আসে, সেটি নিশ্চিত করতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

মুসার পরিবার ও সিএমএইচের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে থাকা অবস্থায় মুসা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র ছাড়া শ্বাস নিতে পারত না। খিঁচুনি হতো। মুসার দেহ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে পড়েছিল। রক্তে সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছিল না বলে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। তার ডান পাশ শুরু থেকেই প্যারালাইজড ছিল। চোখের পাতাও নড়াত না।

সিঙ্গাপুরে অনেক ব্যয়বহুল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে মুসার সংক্রমণ ঠেকানো হয়। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে দেওয়া হয়। নভেম্বর মাসে মুসা কিছুটা তাকায় ও হাত-পা কিছুটা নাড়ে। তবে সেই সময় তাঁর দৃষ্টি অর্থপূর্ণ ছিল না। চোখে আলো ফেললে কোনো সাড়া দিত না। ডান পাশ প্যারালাইজড ছিল। ফিজিওথেরাপি শুরু করার পর জানুয়ারি মাসে তাকে কিছু সময় ধরে বসানো শুরু হয়। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ সময়ের চিকিৎসায় মুসার মাথা, গলা, পেটে ২০টির বেশি অস্ত্রোপচার হয়েছে।  

মুসা ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল ও পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সরকারি ব্যয়ে চিকিৎসাধীন থাকার সময় একাধিকবার প্রথম আলো সংবাদ প্রকাশ করে। মুসাকে নিয়ে গত ২৮ জুলাই প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। দেশে মুসার চিকিৎসা আর সম্ভব নয় জানার পর গত ৭ অক্টোবর ‘আন্দোলনকালে গুলিবিদ্ধ শিশু মুসাকে সিঙ্গাপুরে নিতে বলছেন চিকিৎসকেরা, কে দেবে এত টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রথম আলো। এই সংবাদ প্রকাশের পর চ্যানেল আই মুসাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেয়। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ২০তম ব্যাচের চিকিৎসকদের উদ্যোগে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত চিকিৎসক ও প্রবাসীরা ও দেশের মানুষ অর্থসহায়তা দিয়ে মুসার পাশে দাঁড়ান। সরকার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে মুসার চিকিৎসা নিশ্চিত করে।

মুসা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সিএমএইচের নিউরোসার্জারি বিভাগে (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) স্থানান্তর করা হয় গত ২৬ আগস্ট। আর গত ৪ সেপ্টেম্বর তাকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের শিশু নিউরোলজি বিভাগে। সিএমএইচে মুসা জ্যেষ্ঠ নিউরোসার্জন অধ্যাপক কর্নেল মো.

আল আমিন সালেক এবং পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদের অধীন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁরা মুসাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেন।

মুসা এখন কেমন আছে জানতে চাইলে মা নিশামনি বলেন, ‘সবার দোয়ায় মুসার শরীর আগের চেয়ে ভালো আছে। ওর স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে। ওর মাথায় গুলি বাঁ দিক দিয়ে ঢুকেছিল। অনেক পরীক্ষা–নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছেন গুলিটা ডান পাশে আটকে আছে। এটা বের করা যাচ্ছে না। ওর ডান হাত ও পা, মুখমণ্ডল অর্থাৎ পুরো ডান পাশ প্যারালাইজড। ফলে ও নিজে থেকে উঠে বসতে পারে না। কিছুটা সাহায্য করলে উঠে বসতে পারে। তবে ও হাসে–খেলে। নিজে থেকে মোবাইলের লক খুলে পছন্দমতো ভিডিও বের করে দেখতে পারে। লোকজনকে খুব পছন্দ করে। কাউকে দেখলেই হাসি দেয়। মুঠোফোনে কেউ ভিডিও কল করলে আনন্দ প্রকাশ করতে মুঠোফোনে চুমু খায়।’

মুসাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লেগেছিল। এখন সে আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ বলে মা–বাবার সঙ্গে উড়োজাহাজের আসনে বসেই ফিরবে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর নভেম্বরের একদিন মুসার মা প্রথম আলোকে বলেছিলেন, কোনো একদিন হুট করে ছেলে আবার তাকে ‘মা’ বলে ডেকে উঠবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি। এখনো তিনি সেই অপেক্ষায় আছেন বলে জানান। কারণ, মুসা এখনো কথা বলে না। তিনি বলেন, এক পাশ প্যারালাইজড হওয়ায় মুসা হাঁ করে নিজে থেকে খেতে পারে না। তাকে টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয়। প্রস্রাব–পায়খানার কথাও বলতে পারে না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে মুসার উন্নতি হতে পারে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে জানান, পুরোপুরি সুস্থতার জন্য মুসার দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনমূলক চিকিৎসা দরকার। সরকার সিঙ্গাপুরে যেভাবে চিকিৎসাসহায়তা দিয়েছে, দেশেও তা অব্যাহত রাখবে। সিএমএইচে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর মুসাকে সিআরপিতে নেওয়া হবে। সে যেন হাঁটতে পারে, কথা বলতে পারে, সে লক্ষে৵ লম্বা সময় ধরে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি এবং স্পিচ থেরাপি দেওয়া হবে। সরকার এ ব্যয় বহন করবে। তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে মুসাকে পঞ্চম প্রজন্মের যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে, তা দেশে পাওয়া যায় না। তাই তাকে লোকজন থেকে বেশ কিছুদিন আলাদা রাখতে হবে যেন সংক্রমণ না হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প য র ল ইজড চ ক ৎসক র প রথম আল স এমএইচ স ক রমণ র জন য সরক র অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক

নিরাপত্তার অজুহাতে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ককে। আটক থাকার এক পর্যায়ে তাঁরা অনশন শুরু করেন। ৩২ ঘণ্টা অনশনের পর ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) দুপুরে ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের দুটি গাড়িতে করে যাঁর যাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও আবু বাকের মজুমদারকে ছয় দিন; সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে পাঁচ দিন এবং নুসরাত তাবাসসুমকে চার দিন ডিবি কার্যালয়ে তখন আটক রাখা হয়েছিল। এই ছয় সমন্বয়কের মধ্যে নাহিদ এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। সারজিস, হাসনাত ও নুসরাত এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আবু বাকের এখন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক।

ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার সেই ঘটনা সম্পর্কে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার বোনের বাসার লোকেশন (ঠিকানা) দিয়েছিলাম ডিবিকে। ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) ডিবি তাদের তত্ত্বাবধানেই আমাদের ছয়জনকে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। বোনের বাসায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আমি প্রথমে আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকনগরের একটা জায়গায় দেখা করি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। কীভাবে এক দফার (সরকার পতনের) ঘোষণায় যাওয়া যায়, সে বিষয়েও সেদিন আমরা চিন্তা করি।’

সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আওতায় গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয় রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিছু জায়গায় শিক্ষক ও আইনজীবীরা অংশ নেন। তবে কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।

প্রতিবাদ, বিক্ষোভ

সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ-মানববন্ধন ও মিছিল করা হয়। পাশাপাশি সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।

‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের কঠোর দমনপ্রক্রিয়া ও গুলিতে ছাত্র-জনতা হত্যা’র প্রতিবাদে ১ আগস্ট বেলা ১১টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে তাঁরা প্রথমে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–সংলগ্ন ইন্দিরা রোডের প্রান্তে সমবেত হন। সেদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্পীরা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

পরে শিল্পীরা ইন্দিরা রোড দিয়ে শোভাযাত্রা করে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের কাছে সমবেত হন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা সেখানে সড়কের পাশে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, যে বর্বর পন্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না।

দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পীদের সমাবেশ থেকে সেদিন শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণগ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়। সমাবেশ থেকে আরও জানানো হয়, শিল্পীরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

সেদিন বিকেলে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, গুলি করে শিশুসহ নির্বিচার মানুষ হত্যার তদন্ত জাতিসংঘের অধীনে করতে হবে।

সেই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) বলেন, হত্যার বিচার করতে হবে। হুকুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।

কূটনীতিকদের ‘ব্রিফ’

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ১ আগস্ট বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়। সেই ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকেরা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ