শহীদ আনাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ
Published: 3rd, April 2025 GMT
সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ গতকাল বুধবার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ শহীদ আনাসের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাঁর ছোট দুই ভাইকে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেন। উপদেষ্টা শহীদ আনাসের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় আনাসের মা–বাবা আনাসের আন্দোলনে যাওয়ার স্মৃতিচারণা করেন। আনাসের স্মৃতিচারণা করতে করতে তাঁরা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
আনাসের মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিয়ে উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন, তাঁদের জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাঁদের আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সম্মানিত করব। তাঁদের কবরস্থান পাকা করার ব্যবস্থা করা হবে।’
শহীদ আনাসের পরিবারকে সাহায্য–সহযোগিতা দিয়ে সম্মানিত করায় তাঁর মা-বাবা অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
১৬ বছরের কিশোর আনাস জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার গেন্ডারিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫