বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে। পিঠের চোট কাটিয়ে এই সিরিজে দলে ফিরেছেন ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ড সিরিজে শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও বাংলাদেশ সিরিজের দলে ফিরেছেন।

এই দুই বড় তারকা ছাড়াও দলে আরও কিছু পরিবর্তন এসেছে। দুই বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার তাফাদজাওয়া সিগাকে আবারও দলে ডাকা হয়েছে। দলে ফিরেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজাও।

২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন এই স্পিনার। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড সিরিজে আরভিনের নাম প্রত্যাহারে সুযোগ পাওয়া ওয়েসলি মাধেভেরে স্কোয়াডে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন।

দলে একমাত্র নতুন মুখ লেগ-স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জয়লর্ড গাম্বি, তরুণ পেসার নিউম্যান ন্যামহুরি এবং টপ-অর্ডার ব্যাটার তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো দলে জায়গা পাননি।

প্রধান কোচ জাস্টিন স্যামন্স বাংলাদেশ সিরিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, ‘আমরা রোমাঞ্চিত। কারণ এমন একটি সময়ে আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটই আমাদের মনযোগের প্রধান জায়গা হবে। আমি নিশ্চিত, নতুন কন্ডিশনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার পর এই ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে ও দলীয়ভাবে উন্নতি করবে। আমরা দলটিকে এমনভাবে তৈরি করছি যাতে আমাদের সর্বোচ্চ ভারসাম্য থাকে এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে ২০২০ সালে। সেই টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।

জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে আসবে আগামী ১৫ এপ্রিল। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে ২০ এপ্রিল। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৮ এপ্রিল।

জিম্বাবুয়ে টেস্ট দল
ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, জোনাথন ক্যাম্পবেল, বেন কারেন, ট্রেভর গোয়ান্ডু, ওয়েসলি মাধেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ভিনসেন্ট মাসেকেসা, নিয়াশা মায়াভো, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, তাফাদজাওয়াও সিগা, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ