ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রা। এই মৌসুমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি। এর পাশাপাশি শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন পানীয় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে অন্যতম আখের রস। এটি পান করতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। গ্রীষ্মকালে আখের রস পান করলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
শরীরে শক্তি জোগায় :আখের রসে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, জিঙ্ক, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট-এর মতো পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গ্রীষ্মকালে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করতে এই পানীয়র তুলনা নেই। গরমকালে আখের রস পান করলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও শারীরিক ক্লান্তি দূর হয়ে মেজাজ ভালো হয়। আখের রস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি শারীরিক ক্লান্তিও কমায়। কারণ,এতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন ভরপুর থাকে।
রক্তাল্পতা দূর করে : রক্ত স্বল্পতার কারণে হওয়া রক্তাল্পতা নিরাময়ে আখের রস দারুণ কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এই রস শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যারা রক্তাল্পতায় ভোগেন,তারা নিয়মিত আখের রস পান করলে উপকার পাবেন।
হজমের জন্য ভালো : আখের রস হজমের জন্য বেশ উপকারী। কারণ এতে থাকা পটাশিয়াম পেটের পিএইচ মাত্রা বজায় রাখে এবং হজমের রস নিঃসরণে সহায়তা করে। এছাড়াও, এতে থাকা ফাইবার হজমকে সবসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
জন্ডিসের জন্য ভালো : গ্রীষ্মকালে অনেকেই জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন। তবে, আয়ুর্বেদ অনুসারে, আখের রস জন্ডিসের জন্য সেরা প্রতিকার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আখের রসে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে গরমে প্রতিদিন আখের রস পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে অনেক রোগ ও সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
লিভারের জন্য ভালো: আখের রস লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই রস খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এর পাশাপাশি লিভারকে ডিটক্সিফাই করতেও কাজ করে আখের রস। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের সংক্রমণ প্রতিরোধে দারুণভাবে সাহায্য করে।
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো : আখের রসে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আখের রস পান করলে বাতের ব্যথার মতো হাড় সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গরম স হ য য কর র জন য ভ ল উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
পাশাপাশি খোঁড়া হচ্ছে মা-ছেলের কবর, সেই দৃশ্য কাঁদাচ্ছে এলাকার মানুষকে
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কেনেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সেটি চালিয়ে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন জিয়া উদ্দিন (২৭)। সঙ্গে ছিল তাঁর এক চাচাতো ভাই। পথে নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বালুবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জিয়া উদ্দিনের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম (১৬)। জিয়া উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৩), মেয়ে মাহমুদা কায়সার (৮) ও ছেলে মানারুল ইসলামকে (৩) গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটার দিকে মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের চিনকিরহাট এলাকায় ঘটে এই সড়ক দুর্ঘটনা। এরপর রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও ছেলে মানারুল ইসলাম মারা যান। জিয়া উদ্দিন উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বামন সুন্দর এলাকার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ অলিনগর এলাকায়।
আহত জিয়া উদ্দিনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্দিনকে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মেয়ে মাহমুদা কায়সারের অবস্থাও শঙ্কাজনক। এর মধ্যেই তিনজনের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে পারিবারিক কবরস্থানে। পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে ফারজানা আক্তার ও তাঁর ছেলে মানারুলের কবর।
কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় বামন সুন্দর এলাকার মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা-ছেলের জন্য পাশাপাশি কবর খোঁড়ার দৃশ্য দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখ সিক্ত হচ্ছে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় পুত্রবধূ, নাতিসহ পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে আহাজারি করছেন বিবি হালিমা। আজ সকালে