মাদারীপুর জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে ৬ মাস বয়সী এক ছেলেশিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা হাসপাতালের ষষ্ঠ তলার শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

চুরি হওয়া শিশুটির নাম আবদুর রহমান। তার বাবা সুমন মুন্সি ও মা সুমি আক্তার সদর উপজেলার মহিষেরচর পাকা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, শিশুটিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে দ্রুত পালিয়ে যান বোরকা পরা এক নারী। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে এ দৃশ্য ধরা পড়েছে।

পুলিশ ও স্বজনেরা জানানা, তিন দিন আগে সুমন ও সুমি দম্পতির দুই বছর বয়সী শিশুমেয়ে জামিলাকে অসুস্থ অবস্থায় মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে আরেক মেয়েকে খাওয়াচ্ছিলেন সুমি। এ সময় গোলাপি রঙের বোরকা পরে এক নারী আবদুর রহমানকে কোলে তুলে নেন। আদর করার জন্য হাসপাতালের বারান্দায় নিয়ে যান। এরপর মুহূর্তেই সুমির চোখ ফাঁকি দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে সটকে পড়েন তিনি। খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

হাসপাতালের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছয় মাসের ওই শিশুকে কোলে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল থেকে পালাচ্ছেন এক নারী। হাসপাতালে নিরাপত্তা না থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমি আক্তার বলেন, ‘চোখের পলকেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমি আমার আদরের সন্তানকে ফেরত চাই।’ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। পরে তারাই সব বলবে।

ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা জানান, হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে। এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ন র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ