দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১০ থেকে ১৪ আগস্ট) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১.৭৩ শতাংশ।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.

৪১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.২৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৭৩ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (৩ থেকে ৭ আগস্ট) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল  ১০.৫১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৪১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছিল ০.১০ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১৭ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.৬৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১০.০৩ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৯০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১১.৬৬ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.০৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৩.৭৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৬৮ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.০৯ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৭৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৬০ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৫১ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৩.৬২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৫.৩৫ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৯৮ পয়েন্টে, পাট খাতে ৩০.৫৭ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৫৫.২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১০ থেকে ১৪ আগস্ট) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেনে শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (৫৭.৯২) পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক (২৩.৮৮) পয়েন্ট বা ১.১৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৭৩ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (৭.২৬) পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩০.৮০ পয়েন্ট বা ৩.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩ হাজার ৩৯৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ৩১ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৯৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টির, দর কমেছে ২৭৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই (২২০.২৩) পয়েন্ট বা ১.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক (১.৪৮) শতাংশ কমে ১৩ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক (১.৩৫) শতাংশ কমে ৯ হাজার ১৯০ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক (১.১৩) শতাংশ কমে ৯৪৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) (৪.৪৫) শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২২ হাজার ৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ১৬০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩১৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, দর কমেছে ২০৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা