বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের জন্য তৃতীয় ধাপের (পুনর্বিবেচনা) সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ভ্রমণে চতুর্থ ধাপের সতর্কতা (ভ্রমণ নিষিদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভ্রমণ নির্দেশিকাটি হালনাগাদ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে হুটহাট বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। এগুলোতে যেকোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তাই মার্কিন নাগরিকদের সব ধরনের সমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্য তৃতীয় মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন সরকার। কোনও দেশে ভ্রমণের আগে পরিস্থিতি বুঝে পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়। মূলত, এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে। ভ্রমণ এড়ানো যদি একান্তই সম্ভব না হয়, তবেই যাওয়া উচিত।

ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সতর্ক করে বলা হয়েছে, লোকের ভিড়ে পকেটমারের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। আর বড় শহরগুলোতে, বিশেষত ঢাকায় ছিনতাই, চুরি, অবৈধ মাদক কারবারের মতো অপরাধ ঘটে থাকে।

এছাড়া, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকার দূতাবাসে কর্মরত মার্কিন কর্মীদের রাজধানীর বাইরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় মার্কিন কর্মীদের ভ্রমণের ওপর চতুর্থ ধাপের সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত, কোনও স্থানে ভ্রমণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বোঝাতে এই সতর্কতা জারি করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ভ রমণ পর স থ ত ভ রমণ র র সতর সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ