এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি জুবায়েরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 21st, April 2025 GMT
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল টি এম জুবায়ের ও তাঁর স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক ও তাঁর স্ত্রী নুছরাত জাহানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক টি এম জুবায়ের ও তাঁর স্ত্রীর নামে পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুদক আদালতের কাছে দাবি করেছে, টি এম জুবায়েরের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করে বিভিন্ন পদে চাকরি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
অন্যদিকে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের বিষয়ে দুদক আদালতের কাছে দাবি করেছে, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ অবস্থায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। তাই তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দরকার। পরে শুনানি নিয়ে আদালত হামিদুল হক ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ম দ ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসব অর্থ তিনি জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, শিগগিরই এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।