পাবনায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ১০
Published: 25th, April 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মায় জেগে ওঠা চর দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধ ও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লুক্ষীকুন্ডা ডিগ্রির চরে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিল্লু (২৫), ছুবাইল (২৪), আসিফ (২০) আলম (২৭) বাদশা (২১)। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০ জন। তারা সবাই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিকাত আলী শেখ ও তার ছেলে, ভাই ভাতিজা এবং এলাকায় এলাকাবাসী নিয়ে সরকার থেকে লিজ নেওয়া সম্পত্তি দেখতে গেলে মকুল মেম্বার, তরিকুল মেম্বার ও শফি মিরের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালান।
এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলে স্থানীয় রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রিকাত আলী শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা মকুল মেম্বার, তরিকুল মেম্বার, সরকার পট পরিবর্তনের পর থেকে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে আসছে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এই ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
ঈশ্বরদী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫