কল ও মেসেজের মাধ্যমে সংঘটিত প্রতারণা ঠেকাতে নতুন এক সুবিধা চালু করেছে ট্রুকলার। ‘স্ক্যামফিড’ নামের এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরাই নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে অন্যদের আগেভাগেই সতর্ক করতে পারবেন।

ট্রুকলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নতুন এই সুবিধা এখন থেকে ভারতে ব্যবহার করা যাবে। পরবর্তী ধাপে এটি ধীরে ধীরে অন্যান্য দেশেও চালু করা হবে। স্ক্যামফিড ট্রুকলার অ্যাপের মধ্যেই পাওয়া যাবে। সুবিধাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীরাই হয়ে উঠবেন তথ্যের উৎস। কেউ চাইলে পরিচয় গোপন রেখেই স্ক্যামফিডে প্রতারণার তথ্য ভাগাভাগি করতে পারবেন। পোস্টের সঙ্গে ছবি, স্ক্রিনশট কিংবা ভিডিও যুক্ত করার সুযোগও থাকছে। এ ছাড়া অন্যদের পোস্টে মন্তব্য করা, প্রশ্ন রাখা ও প্রয়োজন হলে তা হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার ব্যবস্থাও রয়েছে।

ট্রুকলারের নিউ ইনিশিয়েটিভস বিভাগের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর তন্ময় গোস্বামী বলেন, ‘প্রতারণা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে তথ্য শেয়ার করা। স্ক্যামফিডের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারবেন। এতে প্রতারকদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকা সম্ভব।’

ট্রুকলার বলছে, নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে অ্যাপটি ধীরে ধীরে রিয়েলটাইম স্ক্যাম সতর্কতা প্ল্যাটফর্মে রূপ নিচ্ছে। ব্যবহারকারীরা কোনো অচেনা নম্বর থেকে কল পেলে স্ক্যামফিড ঘেঁটে দেখতে পারবেন, সেটি আগে কেউ রিপোর্ট করেছেন কি না। সেই সঙ্গে কী ধরনের প্রতারণা হয়েছে বা হতে পারে, তা–ও জানা যাবে। চলতি বছরের মার্চে ‘ম্যাক্স’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) ফিচার চালু করে ট্রুকলার। এটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রিমিয়াম সংস্করণে উন্মুক্ত করা হয়েছে। ‘ম্যাক্স’ কেবল ব্যবহারকারীর সংরক্ষিত নম্বরের বাইরে থেকে আসা কলগুলো চিহ্নিত করে এবং প্রয়োজন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করে দেয়।

২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে ট্রুকলার। শুরুতে আইফোনে কলার আইডি দেখানোর কোনো সুবিধা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব পদ্ধতিতে স্প্যাম শনাক্তের ব্যবস্থা চালু করেছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রুকলারের আইওএস বিভাগের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর নকুল কবরা বলেন, ‘ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছিল স্প্যাম কল এলে সেটি যেন শনাক্ত কিংবা ব্লক করা হয়। আমরা সেই চাহিদা পূরণে নানা ধরনের প্রযুক্তিগত কৌশল প্রয়োগ করেছি।’

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র কল র ব যবহ র প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

আয়কর রিটার্নে ভুল হলে কীভাবে ঠিক করবেন

বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমায় ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, ভুল হতেই পারে। করের হিসাবেই বেশি ভুল হয়। কর রেয়াতের হিসাবেও ভুল করেন অনেক করদাতা। এ ছাড়া করদাতারা এমনিতেই আয়কর নিয়ে ভয় ও শঙ্কায় থাকেন।

যদি কোনো কারণে রিটার্ন ভুল হয়ে যায়, তাহলে আপনার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। আপনি রিটার্ন জমার পরও তা সংশোধন করতে পারবেন। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
এবার দেখা যাক, কীভাবে রিটার্নের ভুল সংশোধন করবেন।

তিন ভুল সংশোধন করা যাবে

রিটার্নে তিন ধরনের ভুল সংশোধন করা যাবে। রিটার্ন দাখিলের পর যদি করদাতার কাছে প্রতীয়মান হয় যে তাঁর প্রদেয় কর সঠিকভাবে পরিগণিত হয়নি বা সঠিক অঙ্কে পরিশোধিত হয়নি, তাহলে তিনি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। যেসব ভুল সংশোধন করা যাবে, তা হলো—১. প্রদর্শিত আয়, ২. দাবি করা কর অব্যাহতি বা ক্রেডিট ও ৩. অন্য যেকোনো যৌক্তিক কারণে ভুল।

যাঁরা ভুল সংশোধন করতে পারবেন না

রিটার্নে তিন ধরনের কারণে ভুল সংশোধন করা যাবে না। এগুলো হলো—১. রিটার্ন দাখিল করার তারিখ থেকে ১৮০ দিন শেষ হওয়ার পর, ২. সংশোধিত রিটার্ন প্রথমবার দাখিলের পর ও ৩. মূল রিটার্নটি নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর।

অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন

করদাতাদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সংশোধন অপশন ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনী রিটার্নে যদি করের পরিমাণ বাড়ে, তাহলে নিয়ম অনুসারে বাড়তি করসহ জরিমানা দিতে হবে।

যেসব করদাতা অনলাইনে মূল আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর ভুলত্রুটির কারণে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাঁদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু আছে। যাঁরা সংশোধন অপশন ব্যবহারের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করবেন, তাঁদের অবশ্যই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

আয়কর দিবস–পরবর্তী সময়েও বছরব্যাপী অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সুবিধাও চালু আছে।

সরাসরি রিটার্ন দাখিল

আয়কর আইনে কর কার্যালয়ে গিয়েও ভুল সংশোধনী রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে কোনো করদাতা রিটার্ন দেওয়ার পর যদি দেখেন যে অনিচ্ছাকৃত ভুলে রিটার্নে কম আয় দেখিয়েছেন, কম কর পরিশোধ করেছেন কিংবা বেশি কর রেয়াত, কর অব্যাহতি বা অন্য কোনো কারণে কম কর পরিশোধ করেছেন। হিসাবের ভুলেও এমন হতে পারে। তাহলে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে এই রিটার্ন জমা দিতে হয়।

আপনি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পর উপকর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে, তাহলে তিনি রিটার্নটি গ্রহণ করবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ