পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
Published: 2nd, May 2025 GMT
হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় দেশে ও সৌদিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা সে দেশের পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, হজ বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, পরিবহন করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা ও তাদেরকে হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর হজযাত্রীদের মক্কায় প্রবেশ সুগম করা, অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন বিধিমালা জারি করেছে সৌদি সরকার। এ বিধিমালা অনুসারে সেদেশের পবিত্র স্থানগুলোতে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতিপত্র, মক্কায় নিবন্ধিত বসবাসের প্রমাণপত্র (ইকামা) ও সরকারিভাবে ইস্যু করা হজ পারমিট থাকলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করা যাবে।
আসন্ন হজ মৌসুমে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে-হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলেই তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। একাজে সহায়তা করলেও রয়েছে এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান।
শুধু জরিমানাই নয়, অপরাধ প্রমাণিত হলে এরূপ সহায়তাকারীর নিজস্ব যানবাহনও আদালতের রায় অনুসারে বাজেয়াপ্ত করা হবে। সৌদি সরকার আরও জানিয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় অবস্থান করে কিংবা বৈধ অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের চেষ্টা করে, তাহলে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর তাকে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
জিলকদ মাসের ১ তারিখ থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত এই বিধান কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজের অনুমতি ছাড়া পবিত্র মক্কা নগরী বা আশপাশের পবিত্র স্থানগুলোতে কেউ প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। বিশেষ করে যারা ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, তাদের ওপর নজরদারি থাকবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় আইন-কানুনের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা ড.
এ প্রসঙ্গে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, হজ একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা এবং টিম ওয়ার্ক। সৌদি আরব এবং মুসলিম দেশ সমূহের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় হজ পরিচালিত হয়। তবে হজ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সৌদি আরব মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। সুপরিকল্পিত কর্মসূচি, আইন-কানুনের যথাযথ প্রয়োগ ও অংশীজনের সহযোগিতা ছাড়া সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হজযাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সৌদি সরকারের প্রচলিত আইন কানুন ও বিধি বিধান অনুসরণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সৌদি সরকারের সকল পদক্ষেপকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বাগত জানায়। হজের পবিত্রতা রক্ষা এবং সকল হজযাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সফল হজ আয়োজন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইন ক ন ন প রব শ ক হজয ত র অবস থ ন অন র ধ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কোহলি জানালেন, তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলেছিল যে আইপিএল–সতীর্থ
২০০৮ সালে তাঁর আইপিএল অভিষেক। আইপিএলের শুরুর মৌসুমে ভারতের টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে দলে ভিড়িয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর।
১৭ বছর আগের স্মৃতি হাতড়ে কোহলির মনে পড়ছে, আইপিএলে শুরুর দিনগুলোতে কোন সতীর্থ তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর প্রভাব ফেলেছিলেন।
বেঙ্গালুরুর এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক পডকাস্ট ভিডিওতে কোহলি কথা বলেছেন আইপিএলে নিজের শুরুর সময় নিয়ে। সেই ভিডিওতে তিনি মায়ন্তি ল্যাঙ্গারকে বলেছেন সাবেক আইপিএল সতীর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবং উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান কীভাবে তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রভাব রেখেছিলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কোহলি।
মার্ক বাউচার