প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে ১৪তম অবস্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কোচ হওয়ার পর রুবেন আমোরিম এর চেয়ে খারাপের কথা নিশ্চয় চিন্তাও করতে পারেননি। লিগে বাজে খেললেও আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন টিকে আছে রেড ডেভিলসদের। কারণ অ্যাথলেটিকো বিলবাও-এর মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জিতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে দলটি।
সান মেমেসে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে যা ঘটার প্রথমার্ধেই ঘটে গিয়েছিল। ঘরের মাঠ হলেও দ্বিতীয়ার্ধ বিলবাও গোল হতে না দেওয়ার চেষ্টা করে গেছে। ম্যানইউ লিড বাড়ানোর চেষ্টা করলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল না খাওয়ার দিকে নজর রেখেছিল।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে ম্যানইউ প্রথম লিড নেয়। গোল করেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কাসেমিরো। ৩৫ মিনিটে অ্যাথলেটিকো ক্লাবের ভিভিয়ান লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ম্যাচে ফেরার আশা একপ্রকার শেষ হয়ে যায় স্বাগতিক স্প্যানিশ দলটির। প্রথমার্ধেই আরও দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতে নেয় রেড ডেলিভসরা।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রুনো ফার্নান্দেজ ব্যবধান ২-০ করেন। ৪৫ মিনিটে তিনি দলকে ৩-০ গোলের লিড এনে দেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর কোন গোল হয়নি। আগামী ৯ মে ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ে নামবে ম্যানইউ ও বিলবাও। ইউরোপা লিগের অন্য ম্যাচে টটেনহ্যাম ৩-১ গোলে নরওয়ের ক্লাব বোদো গ্লিম্টকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউর প ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
তেহরান থেকে এক কোটি মানুষ কীভাবে সরে যাবে
ইরানের রাজধানী তেহরান ছাড়ার চেষ্টা করছেন অনেক মানুষ। তবে গত কয়েক দিনের মতোই তেহরানের রাস্তাঘাট এখনো যানজটে ঠাসা।
বিবিসি পার্সিয়ানের প্রতিবেদক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ জানান, তিনি এমন একটি পরিবারকে চেনেন, যারা তেহরান থেকে রওনা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছে ১৪ ঘণ্টা পর। অথচ এই যাত্রাপথ সাধারণত তিন ঘণ্টায় শেষ হওয়ার কথা।
এত সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পারায় পরিবারটি নিজেদের ‘ভাগ্যবান’ মনে করছে।
পরিবারটির সদস্যদের ভাষায়, ‘ভাগ্যক্রমে’ শেষ পর্যন্ত তাঁরা তেহরান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
তেহরানের বাসিন্দাদের আরও অনেকেই এমন কথা বলেছেন। তাঁরা রাজধানী থেকে বেরিয়ে আসতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে তাঁদের অনেকে আবার উদ্বিগ্ন প্রিয়জনদের নিয়ে, যাঁরা এখনো তেহরান ছাড়তে পারেননি।
বিবিসির এই সাংবাদিক গত রাতে তাঁর এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি তেহরান ছাড়তে পেরেছেন কি না।
জবাবে বন্ধু বলেন, ‘রাস্তা একেবারে আটকে আছে। এখন বেরোলে শুধু যানজটে আটকে থাকতে হবে। আর এই সময়ে তা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
প্রথমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তেহরানের একটি অংশের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সবাইকে তেহরান ছেড়ে যেতে হবে।
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার নজিরবিহীন সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। উভয় পক্ষ আকাশপথে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ২৪ জন।
তেহরানে তখন ভোর সাড়ে চারটা বাজে। তবু বহু মানুষ তখনো জেগে ছিলেন।
সাংবাদিক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ যে ইরানি গ্রুপ চ্যাটগুলোতে আছেন, সব কটিই এখন রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক আলোচনার জায়গায়। সঙ্গে কোথায় কোথায় হামলা হচ্ছে, তা জানানোর প্ল্যাটফর্মও হয়ে উঠেছে সেগুলো।
একটি চ্যাট গ্রুপে একজন লিখেছেন, ‘আমি একদম বিধ্বস্ত-শরীরেও, মনেও। টানা চার রাত ঘুমাইনি।’
চ্যাট গ্রুপে আরেকজন জিজ্ঞেস করেছেন, ‘তেহরান থেকে এক কোটি মানুষ কীভাবে সরে যেতে পারে?’
এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আসেনি।