এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
Published: 20th, May 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের চাপায় অ্যাম্বুলেন্সের পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম ফয়সাল (৪৫)। তিনি ভোলার চরফ্যাশনের মো. ফারুকের ছেলে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “দুর্ঘটনার পরে সিরাজদিখান থানায় ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন এর ৯৮/৯৯/১০৫ এর ধারায় একটি মামলা হয়। চালক ফয়সাল মামলার ১ নম্বর আসামি। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”
আরো পড়ুন:
বাসচাপায় শেষ বাবা, পা গেছে মেয়ের, হাত ভেঙেছে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর
ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
মামলার অপর দুই আসামি বাসের সুপারভাইজার কল্যাণ বিশ্বাস (২৩) ও চালকের সহকারী মো.
গত ৮ মে প্রসূতি নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সের একটি চাকা পাংচার হয়। মহাসড়কের পাশে চাকা মেরামতের সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির আরোহীদের চাপা দেয়।
এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের এক নারী আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত হন সাতজন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঢাকা/রতন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বেড়েছে ধানের ফলন, খুশি কৃষক
কুমারখালীর বুজরুখ বাঁখই মাঠে স্থানীয় বাসিন্দা মোক্তার হোসেন প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেন। এবার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আবাদ করেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, এভাবে চাষাবাদে চারা কম লেগেছে, পরিশ্রমও কম হয়েছে। ফলন আগের চেয়ে বেড়েছে। এখন থেকে যন্ত্র দিয়েই চাষাবাদ করবেন তিনি। তাঁর মতো অনেকে বুজরুখ বাঁখই মাঠে প্রথমবারের মতো আধুনিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের আবাদ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১৫০ বিঘা জমিতে ১২৮ জন কৃষক সমলয় চাষাবাদ করেছেন। এ পদ্ধতিতে কম খরচে গতবারের তুলনায় বিঘাপ্রতি ফলন বেড়েছে ৮ থেকে ৯ মণ। কৃষক বাবুল হোসেন জানান, গত বছর সনাতন পদ্ধতিতে ব্রিধান-২৯ আবাদ করে বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মণ ফলন পেয়েছিলেন। এবার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান-৯২ আবাদ করে একই জমিতে বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২৭ থেকে ২৯ মণ।
সম্প্রতি বুজরুখ বাঁখই মাঠে সরেজমিনে দেখা যায়, কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটছেন কৃষক। সেখানে রয়েছেন কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে একই মাঠে একসঙ্গে একই জাতের ফসল চাষাবাদকে সমলয় বলে। এ পদ্ধিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। জমির অপচয় রোধ করে অধিক ফলন পাওয়া যায়।
যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণের কারণে জমির অপচয় হয়নি বলে জানান কৃষক মিঠুন। তিনি বলেন, গাছ ভালো হয়েছে, ফলনও ভালো। প্রচলিত চাষের চেয়ে যান্ত্রিক চাষ সহজ। কষ্ট ও খরচ কম। তাঁর ভাষ্য, গত বছর বীজ, চারা, জমি ভাড়া, পরিচর্যাসহ প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছিল প্রায় ১৬ হাজার টাকা। ১৯ মণ ধান এবং দুই হাজার টাকার বিছালি পেয়েছিলেন। এবার হিসাব করে প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আর ধান পেয়েছেন ২৯ মণ।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামানের ভাষ্য, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সমলয়ে চাষাবাদে কম খরচে অধিক লাভ হয়। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি চালু রাখা হবে।