Samakal:
2025-09-18@04:57:37 GMT

ঘামে দুর্গন্ধ..

Published: 20th, May 2025 GMT

ঘামে দুর্গন্ধ..

গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর পাশাপাশি শরীরে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম, ঘামের সঙ্গে ফুসকুড়ি, ছত্রাকের সংক্রমণ বা ত্বকের জ্বালাপোড়ার মতো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। মনে রাখবেন ঘাম এবং ফুসকুড়ি রোধ করার জন্য শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
সিন্থেটিক ইনার পোশাক এড়িয়ে চলুন
গ্রীষ্মকালে সিন্থেটিক ইনার পোশাক ত্বকে বাতাস পৌঁছাতে দেয় না। এর ফলে ঘাম আটকে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়। তখন ফুসকুড়ি, ছত্রাকের সংক্রমণ এবং শরীরে দুর্গন্ধ বেড়ে যেতে পারে। এ সময় সুতি বা হালকা কাপড়ের তৈরি ইনার কাপড় পরুন। 
গোসলের পর ত্বক সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে নিন
শুধু গোসল করা যথেষ্ট নয়; শরীরের বিভিন্ন অংশ সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে নেওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আর্দ্রতা থাকে, তবে ছত্রাকের সংক্রমণ এবং চুলকানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বারবার ঘর্মাক্ত ত্বক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন
অনেকে বারবার মুখ, ঘাড় বা বগলের নিচের অংশ মুছে ফেলেন। যার কারণে সেখানে থাকা ব্যাকটেরিয়া হাতে লেগে যায় এবং পরে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
না ধোয়া পোশাক বারবার ব্যবহার করবেন না
গ্রীষ্মে শরীর থেকে নির্গত ঘাম কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ তৈরি করে। তাই টি-শার্ট, ইনার কাপড় বা প্যান্ট না ধুয়ে আবার পরবেন না। এতে ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
রাতে ঢিলেঢালা পোশাক
রাতে ঢিলেঢালা সুতি এবং নন-ইলাস্টিক পোশাক পরুন। তাহলে ত্বক অক্সিজেন গ্রহণের সুযোগ পাবে। এতে ঘামের গন্ধ কমবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। আঁটোসাঁটো পোশাক ত্বককে উষ্ণ এবং আর্দ্র রাখে।
অ্যান্টি-র‍্যাশ ক্রিম লাগান
গরমে শরীরের যেসব স্থানে ঘামের কারণে ফুসকুড়ি দেখা দেয় সে অংশে হালকা অ্যান্টি-র‍্যাশ বা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করলে আরাম পাবেন। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র স ক রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ