বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রশাসকদের হেয় করতে পরিকল্পিত চক্রান্ত হচ্ছে: নগদ
Published: 20th, May 2025 GMT
‘দেশের অন্যতম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ পরিচালনার বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে কোনো রকম আর্থিক সুবিধা নেননি বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক এবং তার সহকারীরা। বরং বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করে প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব আয়ে পরিচালনার পর্যায়ে নিয়ে আসেন তারা। তাদের সময়ে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ে প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসকদের হেয় করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তে নেমেছে।’ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ এবং সে সময় নগদে নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসকদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তে নেমেছে। এই দফায় তাদের আক্রমণের শিকার সে সময়ে নগদে নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক এবং সহকারী প্রশাসকরা। আর এক্ষেত্রে কিছু গণমাধ্যম ওই চক্রটির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। নগদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা দিচ্ছে, দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসকরা সরকারি বেতনের বাইরে নগদ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পাননি।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য তারা সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করে প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব আয়ে পরিচালনার পর্যায়ে নিয়ে আসেন। তাদের সময়েই একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন এবং একমাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ে নগদ। নগদকে এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক ও সহকারী প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি