‘দেশের অন্যতম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ পরিচালনার বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে কোনো রকম আর্থিক সুবিধা নেননি বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক এবং তার সহকারীরা। বরং বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করে প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব আয়ে পরিচালনার পর্যায়ে নিয়ে আসেন তারা। তাদের সময়ে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ে প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসকদের হেয় করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তে নেমেছে।’ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ এবং সে সময় নগদে নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসকদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তে নেমেছে। এই দফায় তাদের আক্রমণের শিকার সে সময়ে নগদে নিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক এবং সহকারী প্রশাসকরা। আর এক্ষেত্রে কিছু গণমাধ্যম ওই চক্রটির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। নগদ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা দিচ্ছে, দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসকরা সরকারি বেতনের বাইরে নগদ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পাননি।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য তারা সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করে প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব আয়ে পরিচালনার পর্যায়ে নিয়ে আসেন। তাদের সময়েই একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন এবং একমাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ে নগদ। নগদকে এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক ও সহকারী প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নগদ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ