নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আমেনা বেগম (৫০) নামে খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, ‍‌‌‌‌‍“বুধবার (২৮ মে) রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামের এমরান উদ্দিনের বাড়িতে আমেনা বেগম  (৫০) নামে ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করে কে বা কারা লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে একই দিন দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে।’’

ওসি আরে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে লাশ থানায় কফিনে ভরে বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে যেন লাশ পচে না যায়।’’  

নিহত আমেনা বেগম উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের মো.

এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি চার মেয়ে এবং দুই ছেলের মা ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার চার মেয়ে, দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী এমরান বাজারে চলে যান। এরপর স্ত্রী ঘরে একাই ছিলেন।

বাবলু বলেন, “রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই।  ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমাকেসহ স্থানীয় কয়েকজনকে মুঠোফোনে জানান। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসত ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।’’  

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “নিহতের স্বজনেরা থানায় রয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। নৌ-চলাচল চালু হলে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’’

ঢাকা/সুজন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ঝ মদ ব প মরদ হ এমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

 খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ

নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আমেনা বেগম (৫০) নামে খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, ‍‌‌‌‌‍“বুধবার (২৮ মে) রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামের এমরান উদ্দিনের বাড়িতে আমেনা বেগম  (৫০) নামে ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করে কে বা কারা লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে একই দিন দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে।’’

ওসি আরে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে লাশ থানায় কফিনে ভরে বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে যেন লাশ পচে না যায়।’’  

নিহত আমেনা বেগম উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের মো.এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি চার মেয়ে এবং দুই ছেলের মা ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার চার মেয়ে, দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী এমরান বাজারে চলে যান। এরপর স্ত্রী ঘরে একাই ছিলেন।

বাবলু বলেন, “রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই।  ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমাকেসহ স্থানীয় কয়েকজনকে মুঠোফোনে জানান। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসত ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দিয়েছে।’’  

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “নিহতের স্বজনেরা থানায় রয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। নৌ-চলাচল চালু হলে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’’

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ