চমক—লিওনেল স্কালোনির ঘোষিত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল দেখে যে কারও এমনটা মনে হতে পারে। এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষিত প্রাথমিক দল থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন এনে চূড়ান্ত দল দিয়েছেন স্কালোনি। যেখানে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তিনজন খেলোয়াড়কে দলে ডেকেছেন তিনি।

পাশাপাশি বাদ পড়েছে কয়েকটি পরিচিত মুখও। আগামী ৬ জুন চিলির বিপক্ষে তাদের মাঠে এবং ১১ জুন কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

শুধু দলে নয়, আর্জেন্টিনার দল ঘোষণার ধরনেও ছিল বড় চমক। ৭ মার্চ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাহিয়া ব্লাঙ্কা শহরের প্রতি সংহতি জানিয়ে বানানো একটি বিশেষ ভিডিওতে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষদের দলে থাকা নামগুলো ঘোষণা করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে চোখ রেখে আর্জেন্টিনা দলে ফিরলেন মেসি, আরও যাঁরা আছেন ১৬ মে ২০২৫

প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পরই লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার মূল দলে ফেরা অনেকটা নিশ্চিত ছিল। আজ শনিবার ভোরে ঘোষিত দলেও মেসির ফেরা নিয়ে কোনো চমক নেই। ফিট থেকেই দলে জায়গা করে নিয়েছেন ‘এলএম টেন’।

তবে এর আগে ঘোষিত প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়েছেন চারজন। তাঁরা নিকোলাস দমিনগেজ, আলেহান্দ্রো গারনাচো, ভ্যালেন্তিস কাস্তেয়ানোস অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার। দমিনগেজ ও ম্যাক আলিস্টার চোটের কারণে বাদ পড়লেও বাকি দুজন ট্যাকটিক্যাল কারণে বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে।

আর্জেন্টিনা দলে ফিরেছেন লিওনেল মেসি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ