বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে: হাথুরুসিংহে
Published: 1st, June 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মনে করেন, শুধু তার নয়, ফারুক আহমেদের ‘অন্যায় সিদ্ধান্তে’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোটা বাংলাদেশের ক্রিকেটও। সমকালকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ।
বাংলাদেশে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে অস্বাভাবিক বিদায় এবং তার বিরুদ্ধে সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের অভিযোগ প্রসঙ্গে হাথুরু বলেন, ‘আমি কিছু খবর পড়েছি অনলাইনে। ভালো লেগেছে। সত্য প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমার একার না, বাংলাদেশের ক্রিকেটেরও বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। এভাবে নিজেদের ক্ষতি করা উচিত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ অন্তত জানতে পারল আমি অন্যায় করিনি। আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, খলনায়ক বানানো হয়েছে আমি সেই ধরনের মানুষ নই। যে আমার অন্যায়ভাবে ক্ষতি করেছে, প্রকৃতিই তাকে শিক্ষা দিয়েছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।’
হাথুরুর দাবি, পাকিস্তান সফরের শুরুতেই তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ, যা আগেই তার কানে পৌঁছে গিয়েছিল। ‘লোক দিয়ে সে তথ্য আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনেও আমি বলেছিলাম, আশা করি ব্যক্তিগত কিছু পেশাদারিত্বে প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু আমার অনুমান ভুল ছিল,’ বলেন হাথুরু।
সাবেক এই কোচের অভিযোগ, ‘বিশ্বকাপ-পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে কিছু না থাকা সত্ত্বেও, ফারুক আহমেদ সেটিকে উপেক্ষা করে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি কারও কথা শোনেননি, পেশাদার আচরণ করেননি। তার সিদ্ধান্তের কারণে বিসিবির বিশ্বাসযোগ্যতা ও দলের স্থিতিশীলতা দুই-ই নষ্ট হয়েছে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে এখনও তার আবেগ কাজ করে জানিয়ে হাথুরু বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট আমার কাছে আবেগের জায়গা। পেশাদারিত্বের চেয়েও বেশি কিছু। বোর্ডের ভেতরে অস্থিরতা থাকলে তার প্রভাব মাঠে পড়ে। ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকলে আশা করি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ ফ র ক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই
ঝালকাঠির নলছিটিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ছোট প্রেমহার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
হামলায় গুরুতর আহত নজরুল ইসলাম হাওলাদার (৬০) ছোট প্রেমহার গ্রামের মৃত গয়েজউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নজরুল হাওলাদারের ছেলে সাব্বির হাওলাদার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিবন্ধনধারী ডিলার। তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শেষে বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। বাবা সাইকেল চালিয়ে সামনে ছিলেন। আমি একটু পেছনে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সাত-আটজন সন্ত্রাসী বাবার ওপর মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
এ সময় দুর্বৃত্তরা সাব্বিরের ওপর হামলার চেষ্টা করে। তিনি দৌড়ে রক্ষা পান। এলাকাবাসীর সহায়তায় পরে আহত অবস্থায় তিনি বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। সাব্বিরের ভাষ্য, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই সন্ত্রাসীরা ওত পেতে ছিল।
ছোট প্রেমহারের বাসিন্দা নাজমুল হাসান টিটু বলেন, এ ঘটনার পর এলাকার সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তিনি। না হলে তারা মানববন্ধনসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবেন।
নলছিটি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ পেলে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেবেন।