তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে বলে জানান তিনি ।

আজ সোমবার ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এমন তহবিল এবারই প্রথম। পাশাপাশি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্যও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা তরুণদের দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য আগামী অর্থবছরে ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদ্‌যাপনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন।

তরুণদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমবাজারের তরুণদের কাজের চাহিদা বৃদ্ধিতে কারিগরি প্রশিক্ষণের কারিকুলাম তৈরি করে সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি নিশ্চিত করতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকল্পের তিন মাসের খরচ বিবেচনা করে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রকল্পের বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর পর্যালোচনা করে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

আগামী রোববার থেকে বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে আছে প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবে ইআরডি।

চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। প্রথম তিন মাসে মাত্র ৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

এবারের এডিপিতে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা দেশীয় উৎস থেকে এবং ৮ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে। বাকি ৮৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশি সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ৫ হাজার ৭৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা বিদেশি সহায়তার মাত্র ৬ শতাংশের মতো। এর মানে হলো, অর্থবছরের চার ভাগের এক ভাগ সময় পেরিয়ে গেলেও বিদেশি সহায়তা খরচে হতাশাজনক চিত্র মিলছে।

ইতিমধ্যে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কীভাবে হবে, তা নিয়ে ইআরডি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পাঁচ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলো হলো—এক. প্রকল্পের আর্থিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ক্রমপুঞ্জিভূত খরচ ইত্যাদির সঙ্গে অবশিষ্ট প্রাপ্যতার সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ চাহিদা দিতে হবে। দুই. প্রকল্পের ব্যয়ের বিদেশি ঋণ, অনুদান ইত্যাদি আলাদা করে পাঠাতে হবে। চার. অনুমোদন ছাড়া সংশোধিত এডিপিতে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। চার. ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের প্রক্ষেপণ প্রেরণের সময় বিশেষ সতর্কতা ও যৌক্তিকতা অবলম্বন করতে হবে। চার. কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলে বা প্রকল্পের খরচ বাড়ানো হলে সরকারি আদেশের কপি পাঠাতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার
  • শেষে এসে ‘বিপদে’ ওয়াসা
  • তিন মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ১১৫ কোটি ডলার, শোধ ১২৮ কোটি ডলার
  • রেমিট্যান্স ২৯ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম
  • প্রকল্পের তিন মাসের খরচ বিবেচনা করে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ