বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের মতো। আমি মনে করি, বিদেশি ঋণ ও রাজস্ব আয়কে মাথায় রাখলে এই বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে গত বাজেটের সঙ্গে এই বাজেটে কোনো পরিবর্তন নেই; শুধু সংখ্যায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। কাঠামো একই রয়েছে।
আমি মনে করি, কিছু সংখ্যার তারতম্য করে আগের বাজেটের নীতিই রাখা হয়েছে। গত সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বের হতে পারেনি। রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট হলে বেসরকারি খাতে টাকার সরবরাহ থাকত, বিনিয়োগ বাড়ত, সুদহার কমে আসত, বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমে আসত এবং সুদও কম পরিশোধ করতে হতো। মৌলিক জায়গায় গলদ রয়েই গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত। কারণ তাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। প্রথমত, বিগত সরকার বাজেটের আকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক ছিল না। দ্বিতীয়ত, রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে ব্যয় হয়ে যাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
তিন ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে জাতীয় পরিবেশ পদক
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশবিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪’ দেওয়ার জন্য তিন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।
প্রত্যেক বিজয়ীকে জাতীয় পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানো হবে। এ সময় তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা স্বর্ণের বাজারমূল্য ও আরো ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট এবং সম্মাননাপত্র।
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়ার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সভায় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহমুদুল ইসলাম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঢাকার ধামরাইয়ের ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’কে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশবিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকার মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। একই ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’।
পরিবেশবিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ। এ ক্যাটেগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক