কয়েকদিন আগেই জীবনের কঠিন মুহূর্তের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর। বর্তমানে লিভার ক্যান্সারের দ্বিতীয় পর্যায়ে আছেন ‘সসুরাল সিমার কা’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। এবার তার স্বামী শোয়েব ইব্রাহিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে স্ত্রীর জন্য ভক্ত-অনুসারীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরেই তার টিউমারের অস্ত্রোপচার স্থগিত ছিল। গতকাল তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তার। এদিন স্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করে শোয়েব লিখেছেন, ‘দীপিকার অস্ত্রোপচার হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। আপনারা সবাই তার জন্য প্রার্থনা করবেন। সবার প্রার্থনার দরকার তার।’

দীপিকার স্বামী জানান, স্বস্তির খবর একটাই, ক্যান্সার রয়েছে শুধু ওই একটি টিউমার অংশেই। শরীরের অন্যত্র কোথাও ছড়ায়নি।

এর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে দীপিকা লিখেছিলেন, সব রকম ইতিবাচকতা দিয়ে তিনি ‘লড়াই’ করতে প্রস্তুত। 

দীপিকা বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার আমার পাশে রয়েছে। আপনাদের সবার কাছ থেকে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, তা আমরা যাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখুন।’

বছরখানেক আগেই মা হয়েছেন দীপিকা। তার লিভার ক্যান্সারের কথা প্রকাশ্যে আসার পর অনেককেই তাকে ছেলের কথা জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়। এই দম্পতি জানান, এক বছরের ছেলে রুহান এমনিতে খুবই বুদ্ধিমান। তবে সে বুঝতে পারছে তার মা অসুস্থ। ছেলের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন দীপিকাও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ