ক্যান্সারে আক্রান্ত দীপিকার জন্য দোয়া চাইলেন স্বামী শোয়েব
Published: 4th, June 2025 GMT
কয়েকদিন আগেই জীবনের কঠিন মুহূর্তের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর। বর্তমানে লিভার ক্যান্সারের দ্বিতীয় পর্যায়ে আছেন ‘সসুরাল সিমার কা’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। এবার তার স্বামী শোয়েব ইব্রাহিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে স্ত্রীর জন্য ভক্ত-অনুসারীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই তার টিউমারের অস্ত্রোপচার স্থগিত ছিল। গতকাল তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তার। এদিন স্ত্রীর জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করে শোয়েব লিখেছেন, ‘দীপিকার অস্ত্রোপচার হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। আপনারা সবাই তার জন্য প্রার্থনা করবেন। সবার প্রার্থনার দরকার তার।’
দীপিকার স্বামী জানান, স্বস্তির খবর একটাই, ক্যান্সার রয়েছে শুধু ওই একটি টিউমার অংশেই। শরীরের অন্যত্র কোথাও ছড়ায়নি।
এর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে দীপিকা লিখেছিলেন, সব রকম ইতিবাচকতা দিয়ে তিনি ‘লড়াই’ করতে প্রস্তুত।
দীপিকা বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার আমার পাশে রয়েছে। আপনাদের সবার কাছ থেকে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, তা আমরা যাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখুন।’
বছরখানেক আগেই মা হয়েছেন দীপিকা। তার লিভার ক্যান্সারের কথা প্রকাশ্যে আসার পর অনেককেই তাকে ছেলের কথা জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়। এই দম্পতি জানান, এক বছরের ছেলে রুহান এমনিতে খুবই বুদ্ধিমান। তবে সে বুঝতে পারছে তার মা অসুস্থ। ছেলের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন দীপিকাও।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি