ডেম্বেলে-ইয়ামালের ব্যালন ডি’অরের ম্যাচ
Published: 5th, June 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা জিতলে নিশ্চিত ভাবেই পুরস্কারটি চলে যেতো বার্সার তরুণ তারকা উইঙ্গার লামিনে ইয়ামালের হাতে। কিন্তু ইউরোপের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বে মুকুট যে পরেছে এবার পিএসজি। আর সেই দলের তারকা ফুটবলার উসমান ডেম্বেলেই এখন পুরস্কারটি জেতার জোরাল দাবিদার। যিনি কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করেছেন ৮ টি, লিগ ওয়ানে গোল ২১ টি।
সেখানে ইয়ামালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৫টি আর লিগসহ বাকি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ১৮ গোল। আজ রাত বাংলাদেশ সময় রাত একটায় (টেন স্পোর্টস ওয়ান দেখা যাবে ম্যাচ) নেশন্স লিগের স্পেন বনাম ফ্রান্সের সেমিফাইনালেই ঠিক হয়ে যেতে পারে কার হাতে উঠবে এবারে ব্যালন ডি’অর।
যদিও দু’জনের কারো হাতেই পুরস্কারের ব্যাপারটি নেই। সারা বিশ্বের ক্রীড়া সাংবাদিক ও জাতীয় দলের কোচ- অধিনায়কের ভোটেই নির্বাচিত হবে ব্যালন ডি’অর বিজয়ী।
তারপরেও ইয়ামালকে এক বৃটিশ ক্রীড়া সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁর আর ডেম্বেলের এই লড়াইয়ের ব্যাপারে কিছু বলতে। উত্তরে সেই সাংবাদিককেই পাল্টা প্রশ্ন করেন ইয়ামাল, ‘আপনি কাকে ভোট দেবেন? যে সারা মৌসুম ভালো খেলেছে তাকে নাকি যে এই ম্যাচটি জিতবে তাকে?’
সাংবাদিক সেই উত্তর দিতে না পারলেও ইয়ামাল নিজেই তা দিয়ে দিয়েছেন। ‘আমি তাকেই ভোট দিতাম যে কিনা সারা বছর ভালো খেলে গেছে। তবে এটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার। কেউ অন্য কিছু ভাবতেই পারে। আমি এই ম্যাচটি জিততে আশাবাদী। তবে তা ওই ভোটের কারণে নয়।’
বছর সতেরোর ইয়ামাল বার্সার হয়ে এই মৌসুমে ঘরোয়া তিনটি ট্রফি জিতেছে। তবে পিএসজির ফরাসি স্ট্রাইকার ডেম্বেলেও কম যাননি। লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জয়ের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। যেহেতু এ বছর ইউরো কিংবা বিশ্বকাপ ফুটবল নেই অনেকেই মনে করছেন ব্যালন ডি’অরের ভোট ক্লাব পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই দেওয়া হবে।
তবে নেশন্স লিগে দুই তারকা মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায়, ম্যাচটির ফলাফলও হয়ত বিবেচনায় আসতে পারে সাংবাদিকদের কাছে। সেজন্য অবশ্য শুধু সেমিফাইনালে নয় স্পেন ও ফ্রান্সের কোন এক দলকে জিততে হবে পর্তুগালের বিপক্ষে ফাইনালেও। সেপ্টম্বরে প্যারিসে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উসম ন ড ম ব ল প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি