রেকর্ডসংখ্যক হলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’, শুভ, বাঁধন, রাজ, পূজারা কয়টি করে হল পাচ্ছেন
Published: 7th, June 2025 GMT
ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ঈদের সিনেমার পোস্টার। সিনেমাগুলো নিয়েই এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। কোন সিনেমা কত হলে, কে কোন হলে সিনেমা মুক্তি দেবেন সেই পরিকল্পনার রূপরেখা চূড়ান্ত হচ্ছে। ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছয়টি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ঈদের বেশির ভাগ ঈদ সিনেমাই ঢাকাকেন্দ্রিক।
ছয়টি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাইরে সিনেমা মুক্তি দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। কোনোটি পাইরেসির ভয়ে ঢাকার মধ্যেই থাকতে চাইছে। কেউ আগে থেকেই পরিকল্পনা করছে ঢাকা মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ফলাফল দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তারপরও দেশজুড়ে ঈদের সিনেমা নিয়ে মেতে উঠছেন ঢালিউডের দর্শকেরা। বরাবরের মতো এবারও শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমা সর্বাধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। কত হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘তাণ্ডব’? অন্য সিনেমাগুলোই–বা কয়টি হল পেল?
‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাইলে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহে থাকতে পারি। বলা যেতে পারে সব হলেই থাকছি। কিন্তু কতটা হল সেটা এখনো ঠিক হয়নি। তবে “তাণ্ডব” নিয়ে হলমালিকদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। সবাই চাইছেন আমাদের সিনেমা। এখন পর্যন্ত আমাদের সিনেমা ১৩২টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে জুটি হয়েছেন সাবিলা নূর।
‘ইনসাফ’ সিনেমার পোস্টার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকোভিচের শেষের শুরু
উনচল্লিশ চলছে তাঁর। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য বয়সটা নেহাত কম নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো প্যারিস ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগি হয়ে পড়েন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার সেমিফাইনালে তিনি হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই কিংবদন্তী। রোঁলা গারোর দর্শকদের কাছে হাত উঁচিয়ে বিদায় নিয়ে যান।
‘এটাই হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। জানি না, তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আবারও এখানে খেলতে চাই। কিন্তু সেটা আরও বারো মাস পরে, যা কিনা আমার জন্য অনেক বেশি সময়। ইউএস ওপেন আর উইম্বল্ডন খেলব। তারপর পাকাপাকি অবসরের নিব কিনা জানি না।’
২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা সম্প্রতি সময়ে লড়ছেন যেন তার বয়সের সঙ্গেই। দু’বছর আগে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে। এর পর গত বছর উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান কার্লোস আলকারেজের কাছে। এবারে প্যারিস থেকে বিদায় নিলেও সেখানকার লাল মাটির কোর্টে কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখে যান জকো।
লাল দুর্গের এই কোর্টে রাজা ছিলেন যিনি, সেই রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক ১১২টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে এখানে। সেই লাল দুর্গেই কিনা দ্বিতীয় সর্বাধিক হিসেবে ১০১টি ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে একক কোনো মেজর আসরেও এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দশ বার অংশগ্রহণ করে তিনবার শিরোপা জিতে নেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তবে এখান থেকেই বোধহয় শেষের শুরু হলো।