আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিল নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল দল তাহলে কোন দেশের
Published: 12th, June 2025 GMT
পরপর দুটি কোপা আমেরিকা, মাঝে পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ ও সঙ্গে লা ফিনালিসিমা। গত চার বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলের যতগুলো ট্রফি জেতা সম্ভব, সবই জিতেছে আর্জেন্টিনা। কাতারে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জেতার পর ২০২৩ সালের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সেই যে শীর্ষে উঠেছে লিওনেল স্কালোনির দল, এখন পর্যন্ত সেই অবস্থান ধরে রেখেছে তারা। বলা যায়, গত চার বছরে বিশ্বের সবচেয়ে সফল জাতীয় দল আর্জেন্টিনা।
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সাফল্য আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের বাজারমূল্য বাড়িয়েছে। তবে এরপরও এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জাতীয় দলটা আর্জেন্টিনার নয়। তাহলে কোন দেশের? বিশ্বকাপ রানার্সআপ ফ্রান্সের? না, তা–ও নয়। এমনকি নয় সর্বশেষ ইউরো জেতা স্পেন বা ভিনিসিয়ুস-রাফিনিয়া-রদ্রিগোর মতো তারকা ঠাসা ব্রাজিলেরও না।
তাহলে ফুটবলে এখন সবচেয়ে দামি দলটা এখন কোন দেশের?
উত্তরটা জানার আগে চলুন দেখা যাক সবচেয়ে দামি দল আসলে কীভাবে হিসাব করা হয়। ফুটবলের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে বিশ্বের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তবে সবচেয়ে হালনাগাদ সম্ভবত ট্রান্সফারমার্কেট ওয়েবসাইটটি। ফুটবলের দলবদলবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেট কাজ করে ফুটবলারদের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে। তারা ফুটবলারদের বাজারমূল্যও বিচার করে। যেটা করা হয় ফুটবলারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, বয়স, বাজারে তার চাহিদা এসব বিশ্লেষণ করে। সেই হিসাবে ট্রান্সফারমার্কেট বলছে, এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি জাতীয় দলটা ইংল্যান্ডের।
ইংল্যান্ড ফুটবল দল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ব র সবচ য় আর জ ন ট ন ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি