রান্নায় ব্যবহৃত সব মসলার মধ্যে লবণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এটি ছাড়া রান্না করা অসম্ভব। খাবারের মৌলিক উপাদানগুলির একটি হল লবণ। শরীর সুস্থ রাখতেও প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণের প্রয়োজন। শুধু রান্নার কাজেই নয় লবণের আরও বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। দৈনন্দিন অনেক কাজে লাগে লবণ। যেমন-
১. ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখেতে লবণের জুড়ি নেই। লেবুর রস বা ভিনেগারের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট সহজেই সিঙ্ক, কাটিং বোর্ড, কাউন্টারটপ, মার্বেল মেঝের দাগ পরিষ্কার করবে। থালাবাসনের পোড়া দাগ দূ করতেও কার্যকর এই পেস্ট।
২.
৩. ফ্রিজের গন্ধ দূর করতেও অত্যন্ত কার্যকর লবণ। একটি পাত্রে লেবু এবং লবণের মিশ্রণ ফ্রিজে রেখে দিন। এতে ফ্রিজের ভিতরের বোটকা গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
৪. জুতার গন্ধ দূর করতে চাইলে জুতার মধ্যে লবণ ঢেলে রেখে দিন। এতে ওই গন্ধ দূর হবে।
৫. অনেক সময় বাড়ির সিঙ্কের পাইপ আটকে বন্ধ হয়ে যায়। এমন হলে কয়েক টেবিল চামচ লবণ এবং বেকিং সোডার মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। ওই পেস্ট পাইপে ঢেলে ফুটন্ত পানি দিন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লবণ পর ষ ক র র করত লবণ র ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।