অধ্যাপক ইউনূস ‘কিংস তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন
Published: 13th, June 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘কিংস তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য জানান।
বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং পরিবেশ-প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস প্রধান উপদেষ্টাকে এ সম্মাননার জন্য মনোনীত করেন।
২০২৪ সালের জুন মাসে রাজা চার্লস প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের উদ্যাপন হিসেবে নতুন এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এ পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি–মুন।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন’। এ দাতব্য প্রতিষ্ঠান তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের উদ্যোগে গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদানের জন্য এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দিয়ে থাকে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে ভয়ভীতি দেখাতে এলোপাতাড়ি গুলি, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ৭
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে। এতে পথচারী শিশু-কিশোরসহ অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর গ্রুপটির প্রধান ওসামা বিন হোসাইন সহযোগীদের নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালান বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন শামসু উদ্দিন (৩৫), মো. ইব্রাহিম (১৬), তামান্না (১৩), নুর কামাল (৯), সোহেল (৩০), ফয়েজ উদ্দিন (১৮) ও মো. শফিক (৫০)। তাঁদের মধ্যে নুর কামাল প্রতিবন্ধী শিশু, তার মাথায় গুলি লেগেছে।
আহত শামসু উদ্দিন বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলাম, তখনই ওসামা গুলি চালায়। কেন গুলি করল বুঝতে পারিনি।’
আহত ফয়েজ উদ্দিনের মা আকতার বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুলি আর ছুরি মেরে আহত করেছে ওসামা ও তার লোকজন। সে এখন হাসপাতালে। আমি এদের বিচার চাই।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে আসছেন ওসামা। আজ জুমার নামাজের পর লোকজন মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ও তাঁর সহযোগীরা অতর্কিতে গুলি চালান। আহত ব্যক্তিদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে ওসামা বিন হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুলিবর্ষণের পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।