এক নেতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিএনপি, তাহলে দেশ চালাবে কেমনে
Published: 13th, June 2025 GMT
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, গলাচিপায় দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিএনপি। তাহলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ চালাবে কেমনে?
আজ শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর অবরুদ্ধ হওয়াসহ তাঁর নির্বাচনী এলাকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক বলেন, ‘আন্দোলন–সংগ্রাম করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হয়েছি। কোনো রাজনৈতিক দলে নাম লেখাইনি। কোনো দলের নেতার গোলামি করিনি। নিজেই একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। ছাত্রজীবন থেকে এ পর্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি। অথচ আমার এলাকায় বিএনপির এক নির্বাহী সদস্য হাসান মামুনের অনুসারীদের কাছে হেনস্তা ও লাঞ্ছিত হচ্ছি।’
নুরুল হকের অভিযোগ, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় গণ অধিকার পরিষদের দলীয় অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল রাতে আমি ও আমার নেতা–কর্মীদের অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ জন্য বরিশাল-পটুয়াখালী থেকে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী ভাড়ায় এনে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ভাড়ায় আনা সন্ত্রাসীরা রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, বস্তাভর্তি ইট নিয়ে আমাদের পথ রোধ করে মহড়া দিয়েছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে পথে পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বলা হয়, আমার লোকজন নাকি আমার গ্রামের বাড়ি চরবিশ্বাসে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে। এই আমলে এমন কে আছে যে বিএনপির অফিসে হামলার সাহস রাখে?’
নুরুল হক আরও বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে হাসান মামুন কোনো রাজনৈতিক মামলার শিকার হননি। অথচ আমি আর আমার পরিবার পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এই হাসান মামুনকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।’
এ বিষয়ে বিএনপির নেতা হাসান মামুন প্রথম আলোকে বলেন, নুরুল হক এলাকায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি গত বুধবার প্রকাশ্যে একটি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার চরবিশ্বাস বাজারে তাঁর লোকজন বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এসব উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে এলাকার লোকজন নুরুল হকের ওপর ক্ষিপ্ত হতে পারেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ন র ল হক ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কাবরেরার পদত্যাগ ১৮ কোটি মানুষের দাবি: বাফুফে সদস্য
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নিজস্ব সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভুঁইয়া জাতীয় দলের হেড কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ চেয়েছেন। স্প্যানিশ এই কোচের পদত্যাগ ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার বাফুফে রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির ১৪ সদস্য। এর উদ্দেশ্য ছিল বাফুফের আগামী ছয় মাসের পরিকল্পনা ও কার্যক্রম সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরা।
সেখানে বাফুফের নির্বাহী সদস্য সাখাওয়াতকে ফেডারেশনেরন অভ্যন্তরীণ অডিট ও সরকারি সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলার আহ্বান করা হয়। তবে তিনি ওই প্রসঙ্গে কোন কথা না বলে কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করে বসেন, ‘ অডিট নয়, আমার একমাত্র এজেন্ডা জাতীয় দল। কমিটির সদস্য হিসেবে স্পষ্ট করে বলছি, আমি কাবরেরার পদত্যাগ চাই। এটা ১৮ কোটি মানুষের দাবি।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলে বেশ কিছু ভালো প্রবাসী ফুটবলার যোগ দিয়েছেন। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহমিদুলরা দেশের জার্সিতে খেললেও ফলাফল আগের মতোই রয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে ঘরের মাঠে হেরেছে বাংলাদেশ। অভিযোগ উঠেছে, হামজা-শমিতকে ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারেননি স্প্যানিশ কোচ কাবরেরা। বরং গতবাধা সিস্টেমে ম্যাচ খেলিয়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর ম্যাচের পরই ভক্তদের মধ্যে কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেন একদল ভক্ত। তিনি বছরের অধিকাংশ সময় ছুটিতে থাকেন, দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নজর রাখেন না। বরং চেনা কিছু মুখ নিয়ে চেনা ফরমেশনে ম্যাচ খেলান বলেও অভিযোগ। ভালো ফর্মে না থাকলেও রাকিব ও সাদ উদ্দিনকে খেলানো নিয়েও আছে প্রশ্ন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাফুফে সদস্য সাখাওয়াত হেড কোচ কাবরেরার পদত্যাগ চেয়েছেন। বাফুফের সঙ্গে কাবরেরার চুক্তি আছে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব পর্যন্ত। যার অর্থ ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি আছে তার। ফেডারেশন তাকে বরখাস্ত করলে জরিমানা দিতে হবে। যে কারণে চুক্তি শেষের দিকে চলে আসায় তাকে জরিমানা না করার পথে হাঁটতে পারে বাফুফে।