সিদ্ধিরগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন মোঃ রবিন শেখ (৩০) নামে এক ব্যক্তি।

অভিযোগে তার সাবেক স্ত্রীসহ মোট তিনজনকে অভিযুক্ত করে এই মামলাটি দায়ের করেন। রবিন শেখ সানারপাড় এলাকার হান্নান শেখের ছেলে। 

এই মামলার ১নং আসামি দিমা চৌধুরী ওরফে দিমা আক্তার (২০) নামে এক তরুনিকে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে সোনারগাঁও উপজেলা লাহাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।  গ্রেফতারকৃত দিমা চৌধুরী সোনারগাঁও উপজেলার লাহাপাড়া গ্রামের শওকত আলম মুক্তারের মেয়ে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাদী ৩নং আদিরা ইসলাম সাদিয়া (১৯) তার সাবেক স্ত্রী এবং ১ ও ২ নং বিবাদী দিমাহ চৌধুরী (২০) ও মরিয়ম আক্তার মাইশা (২২) তার সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী।

রবিন শেখ বলেন, পারিবারিক সম্মতিতে প্রায় দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে, যার বয়স সাত মাস।

বাদী অভিযোগ করেন, দাম্পত্য জীবনে চলাকালীন সময়ে তার স্ত্রী কৌশলে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাদের মধ্যে হওয়া ব্যক্তিগত (অশ্লীল) ভিডিও কথোপকথন গোপনে ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে তালাক প্রদান করেন।

এর পর থেকেই তার সাবেক স্ত্রী ও তার সহযোগীরা বাদীকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ওই গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।

বাদীর ভাষ্য মতে, ২৬ মে রাত ৮টার দিকে তিনি দেখতে পান যে, তার গোপন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে যোগাযোগ করলে অভিযুক্তরা তার কাছে ভিডিওগুলো মুছে দেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় আরও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে, প্ররোচনা ও সহায়তায় এই অপরাধ সংঘটিত করেছে এবং বাদীকে সামাজিকভাবে হেয় ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় একজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ