সিদ্ধিরগঞ্জে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী গ্রেপ্তার
Published: 14th, June 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন মোঃ রবিন শেখ (৩০) নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে তার সাবেক স্ত্রীসহ মোট তিনজনকে অভিযুক্ত করে এই মামলাটি দায়ের করেন। রবিন শেখ সানারপাড় এলাকার হান্নান শেখের ছেলে।
এই মামলার ১নং আসামি দিমা চৌধুরী ওরফে দিমা আক্তার (২০) নামে এক তরুনিকে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে সোনারগাঁও উপজেলা লাহাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দিমা চৌধুরী সোনারগাঁও উপজেলার লাহাপাড়া গ্রামের শওকত আলম মুক্তারের মেয়ে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাদী ৩নং আদিরা ইসলাম সাদিয়া (১৯) তার সাবেক স্ত্রী এবং ১ ও ২ নং বিবাদী দিমাহ চৌধুরী (২০) ও মরিয়ম আক্তার মাইশা (২২) তার সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী।
রবিন শেখ বলেন, পারিবারিক সম্মতিতে প্রায় দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে, যার বয়স সাত মাস।
বাদী অভিযোগ করেন, দাম্পত্য জীবনে চলাকালীন সময়ে তার স্ত্রী কৌশলে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তাদের মধ্যে হওয়া ব্যক্তিগত (অশ্লীল) ভিডিও কথোপকথন গোপনে ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে তালাক প্রদান করেন।
এর পর থেকেই তার সাবেক স্ত্রী ও তার সহযোগীরা বাদীকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ওই গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
বাদীর ভাষ্য মতে, ২৬ মে রাত ৮টার দিকে তিনি দেখতে পান যে, তার গোপন ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে যোগাযোগ করলে অভিযুক্তরা তার কাছে ভিডিওগুলো মুছে দেওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় আরও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে, প্ররোচনা ও সহায়তায় এই অপরাধ সংঘটিত করেছে এবং বাদীকে সামাজিকভাবে হেয় ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় একজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি