সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ বিল্লাল হোসেন এর ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে  শনিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে দলীয় উপজেলার ফতেপুর বিল্লাল হোসেনের নিজ বাড়িতে  মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক  ও বিল্লাল চেয়ারম্যান এর বড় পুত্র মাসুম বিল্লাহ'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মোল্লা, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাকিব হাসান,সনমান্দী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফাইজ উদ্দীন বেপারী, বিএনপির নেতা নোবেল মীর, করিম রহমান, সনমান্দী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব খোকন শিকদার, যুবদল নেতা পনির, ইউনিয় বিএনপির নেতা মতিন মুন্সী সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আওয়াল পিন্টু উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছিলেন।

এ সময় বক্তরা বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ বিল্লাল হোসেন চেয়ারম্যান এর  কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ বিল্লাল হোসেন এর বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ বলেন, সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তিনি চলার পথে আপনাদের কারো কাছে অপরাধ করা থাকলে সবাই ক্ষমা করে দেবেন। সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, মরহুম বিল্লাল হোসেন চেয়ারম্যান কে ১১ বছর আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। অবিলম্বে বিল্লাল হোসেন চেয়ারম্যানের খুনিদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি  নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানাই।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সনম ন দ য বদল র ব এনপ র ইউন য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ