জায়গা হস্তান্তর না করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 16th, June 2025 GMT
ভবন নির্মাণের জন্য নীলফামারী সরকারি কলেজের জায়গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর না করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ার কাছে দাবির পক্ষে একটি স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নীলফামারী সরকারি কলেজের ৩৩ শতাংশ জায়গা আছে। ওই জায়গায় কলেজের ছাত্রাবাস নির্মাণ করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা; কিন্তু এরই মধ্যে তাঁরা জানতে পেরেছেন, জায়গাটি নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে ভবন নির্মাণের জন্য দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। যদি শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে কলেজের নিজস্ব জায়গা কারও কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কলেজ চত্বরে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নীলফামারী জেলা শাখার সদস্যসচিব মোস্তফা মুহাম্মদ শ্রেষ্ঠ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার সদস্যসচিব মো.
মো. পায়েলুজ্জামান বলেন, কলেজের ওই জায়গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হলে শুধু ছাত্রাবাসই নয়, অবকাঠামোগত নানা সংকটে পড়তে হবে কলেজকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শিক্ষার্থীরাই।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাজেরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি স্কুল-কলেজ ও আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। আমাদের ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আছে; কিন্তু জমি অধিগ্রহণের বরাদ্দ নেই। নীলফামারী সরকারি কলেজের ৩৩ শতাংশ পতিত জমি আছে। আমরা সেখানে ভবন করার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এটার অনুমোদন দেবেন শিক্ষাসচিব। অনুমোদন না পেলে জোর করে ভবন করার কোনো সুযোগ নেই।’
জানতে চাইলে নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের কলেজের জায়গার অপ্রতুলতা রয়েছে। এখানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভবন না করার ব্যাপারে কলেজ পরিষদের তরফ থেকে বিষয়টি জেলা প্রশাসক ছাড়াও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল জ র র জন য সরক র ভবন ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমি বললাম, ‘আমাকে সাত দিন সময় দাও, তোমাকে প্রমাণ করে দেখাব’
ছবি: প্রথম আলো