পদ্মার দুটি ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজার ও একটি পাঙাশ ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি
Published: 18th, June 2025 GMT
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে সাড়ে তিন কেজি ওজনের দুটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। ইলিশ দুটি স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ইলিশ দুটি বিক্রি হয়।
স্থানীয় জেলেরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে জেলেরা পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন। রাতে স্থানীয় জেলে শাহাদত হোসেন হালদারের জালে দুটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। মাছ দুটি বিক্রির জন্য তিনি রাতেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আনেন। এ সময় ওজন দিয়ে দেখেন, ইলিশ দুটির ওজন ছিল ৩ কেজি ৬০০ গ্রাম। নিলামে বিক্রির জন্য তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছ দুটি কেনেন ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।
এর আগে গত সোমবার সকালে দৌলতদিয়ার কলাবাগান এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলে করিম হালদারের জালে প্রায় ৪ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের দুটি বড় ইলিশ ধরা পড়ে। ওই ইলিশ দুটিও কিনেছিলেন শাহজাহান শেখ; দাম পড়েছিল ১৯ হাজার ৭৫০ টাকা। পরে তাঁর কাছে থেকে লন্ডনপ্রবাসী এক ব্যক্তি ইলিশ দুটি ২০ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন।
আজ বুধবার সকালে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক শাহজাহান শেখ বলেন, গতকাল রাতে জেলে শাহাজাহন, খবির ও উসমানের জালে বড় কয়েকটি ইলিশ ধরা পড়ে। এর মধ্যে প্রায় ৩ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের দুটি ইলিশ তিনি ৪ হাজার টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার ৪০০ টাকায় কেনেন। এখনো ইলিশ দুটি বিক্রির জন্য তাঁর আড়ত ঘরে রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুনপদ্মা নদীর দুই পাঙাশ ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি১৩ জুন ২০২৫প্রায় ২২ কেজি ওজনের একটি পাঙাশ ৩৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি