ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাঝেই আলোচনায় এলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এই মহাতারকা এবার একটি বিশেষ বার্তা লেখা জার্সি উপহার দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনের সময় ট্রাম্পের হাতে এই উপহার তুলে দেওয়া হয়।

পর্তুগালের হয়ে ইউরো নেশন্স লিগ জেতার সময়ের সেই জার্সিটিতে ছিল রোনালদোর স্বাক্ষর ও বিশেষ বার্তা, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য উপহার, শান্তির জন্য খেলছি, সিআর৭।’ ট্রাম্প বার্তাটি পড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘দুর্দান্ত, আমি এটাই পছন্দ করি। শান্তির জন্য খেলা।’

উপহারটি ট্রাম্পের হাতে তুলে দেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা। এসময় ট্রাম্প রোনালদোকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার বলে প্রশংসা করেন,  ‘তারা বলে যে তিনিই (রোনালদো) সর্বকালের সেরা (ফুটবলার)।’

To President @realdonaldtrump.



Playing for peace. As a team. pic.twitter.com/iLGAmbmu0J

— António Costa (@eucopresident) June 16, 2025

তবে রোনালদোর এই উপহার নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ সাধুবাদ জানাচ্ছেন, কেউ আবার সমালোচনা করছেন ট্রাম্পকে উপহার দেওয়াকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে রোনালদো রয়েছেন বিশ্রামে। ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি তার ক্লাব আল নাসর। জাতীয় দল পর্তুগালেরও এখন কোনো ম্যাচ নেই।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ