শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৬ কোটি টাকা দিল ওয়ালটন
Published: 18th, June 2025 GMT
সরকারের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে বাৎসরিক লভ্যাংশের ৬ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ৩৭৮ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্টস ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের হাতে চেক তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও মো.
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, এ টাকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা হবে।
তিনি জানান, শ্রম আইন ২০০৬ এর ২৩২ ধারার উপধারা-১ মোতাবেক শর্ত পূরণ করে এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাববছরের শেষ দিনে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ অন্যূন ১ কোটি টাকা এবং কোনো হিসাববছরের শেষ দিনে স্থায়ী সম্পদের মূল্য অন্যূন ২ কোটি টাকা হলে কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিক অংশগ্রহণ করবে।
২৩৪ ধারার উপধারা-১ এ অনুযায়ী প্রত্যেক কোম্পানির মালিক প্রত্যেক বছর শেষ হওয়ার অন্যূন নয় মাসের মধ্যে পূর্ববর্তী বছরের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ অর্থ যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে দেবে। আইনের ২৩৬ ধারা মোতাবেক যথাসময়ে কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ না দিলে জরিমানাসহ অর্থ আদায় করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের অর্থ মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে অনুদান, ছাত্র বৃত্তি এবং শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসায় খরচ করা হবে।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও মো. ইউসুফ আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদ আলম এবং বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টার হাতে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের বাৎসরিক লভ্যাংশের ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন ওই কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিন ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল থেকে জুন, ২০২৫) ও অর্ধবার্ষিকের (জানুয়ারি থেকে জুন, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেগুলো হলো- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও এবি ব্যাংক পিএলসি।
রবিবার (৩ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
বিএসইসির কমিশনার হিসেবে সাইফুদ্দিনের যোগদান
সালমানকে ১০০ কোটি, সায়ানকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.১৮ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৭ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.৩৪ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৩১ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬.৯৬ টাকা।
ট্রাস্ট ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.১৫ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.১৭ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৪৬ টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ১.৫৩ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৯.০৭ টাকা।
এবি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১৬.৭৮) টাকা। আগের বছরের একই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.০৪ টাকা। দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১৯.৬৩) টাকা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.১৬ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল (১২.৩৩) টাকা।
ঢাকা/এনটি/রফিক