মাদক নিয়ে বিরোধে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, এলএসডি উদ্ধার
Published: 28th, June 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে মাদক নিয়ে বিরোধের জেরে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় প্রায় ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহন আলী মন্ডল (২৪) ওই গ্রামের মৃত মদন আলী মন্ডলের ছেলে। মোহনের পরিবার জানিয়েছে, তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, গতকাল রাত আটটার দিকে মোহন ও হৃদয় নামের দুজন তরুণ রামকৃষ্ণপুর থেকে মোটরসাইকেলে জামালপুর যাচ্ছিলেন। আশ্রয়ণ বিওপি এলাকায় সীমান্ত পিলার থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে বাবলাতলায় তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় কয়েকজন সন্ত্রাসী। দেশি অস্ত্র দিয়ে তাঁদের ঘাড় ও মাথায় আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মোহনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিজিবি জানায়, ঘটনার পর টানা অভিযান চালিয়ে রাত তিনটার দিকে আশ্রয়ণ বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ঠোটারপাড়া নামক স্থান থেকে মো.
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গের সামনে কথা হয় নিহত মোহনের মামা মো. বকুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিকেলে মোহনকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে ফোন দিলে কেউ ধরেনি। জানতে পেরে রাত আটটার দিকে আমি ফোন করলে বিজিবির এক সদস্য মোহনের ফোন ধরেন। বলেন মোহন গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির সহায়তায় দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর ভাগনের সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল কি না, জানা নেই। তিনি কৃষিকাজ করতেন। ভাগনের পিঠের নিচে গুলির চিহ্ন দেখেছেন বলেও তিনি দাবি করেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপস) ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মাদক কেনাবেচা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একজন আটক আছেন। ডিবি পুলিশসহ থানা-পুলিশ তদন্তে নেমেছে। গুলির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হন র
এছাড়াও পড়ুন:
গুগল মেসেজেসে সংবেদনশীল ছবি ব্লার করার সুবিধা সবার জন্য চালু
গুগল মেসেজেসে এখন সবার জন্য চালু হলো সংবেদনশীল আধেয় বা কনটেন্ট শনাক্ত ও সতর্কবার্তা প্রদানের সুবিধা। গত বছরের অক্টোবরে ফিচারটির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। চলতি বছরের এপ্রিলে মেসেজেসের পরীক্ষামূলক সংস্করণের কিছু ব্যবহারকারী প্রথম এ সুবিধা পান। অবশেষে ঘোষণার প্রায় ১০ মাস পর অ্যান্ড্রয়েডের সব ব্যবহারকারীর জন্য ফিচারটি উন্মুক্ত হলো।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ৯টু৫ গুগলের তথ্যমতে, ‘সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ বা সংবেদনশীল কনটেন্ট সতর্কবার্তা চালু করলে নগ্নতা রয়েছে, এমন ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঝাপসা হয়ে যাবে। চাইলে ছবিটি না খুলেই মুছে ফেলা যাবে। এ ধরনের ছবি পাঠানো প্রেরককে ব্লক করার অপশনও থাকবে। তবে ছবি দেখতে হলে ‘নেক্সট’ চাপ দিয়ে অনুমতি দিতে হবে।
গুগল জানিয়েছে, ফিচারটির সব প্রক্রিয়াই ব্যবহারকারীর যন্ত্রে সম্পন্ন হয়। ফলে কোনো সংবেদনশীল ছবি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত বা আপলোড হবে না। কিশোর ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ডিফল্টভাবে চালু থাকবে। তত্ত্বাবধানে থাকা অ্যাকাউন্টে এটি বন্ধ করার সুযোগ থাকবে না। তবে অভিভাবকেরা ‘ফ্যামিলি লিংক’ অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ঐচ্ছিক ও ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকবে।
সুবিধাটি ব্যবহার করতে চাইলে গুগল মেসেজেস অ্যাপে গিয়ে প্রোফাইল ছবিতে চাপ দিয়ে ‘মেসেজেস সেটিংস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘প্রটেকশন অ্যান্ড সেফটি’তে গিয়ে ‘ম্যানেজ সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ অপশনে গিয়ে ফিচারটি চালু করা যাবে। পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ফিচারটি ব্যবহার করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘সেফটিকোর’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হতে পারে।
ফিচারটি চালু থাকলে শুধু ছবি দেখার সময় নয়, কোনো সংবেদনশীল ছবি পাঠানো বা ফরোয়ার্ড করার আগেও সতর্কবার্তা দেখা যাবে। সতর্কবার্তায় ডান দিকে সোয়াইপ করে অনুমোদন দিতে হবে। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে সংবেদনশীল ছবি শেয়ার হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। এই সতর্কবার্তা কেবল স্থির ছবির ক্ষেত্রে কার্যকর। জিআইএফ বা ভিডিও ফাইলের ক্ষেত্রে সুবিধাটি প্রযোজ্য নয়।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েডপুলিশ