ছবি: প্রথম আলো।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়া হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত: স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি

বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর কনসেশন বা ইজারা দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মন্তব্য করেছে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আজ রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্ল্যাটফর্মটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক।

চট্টগ্রামের লালদিয়ার চরকে বিদেশি অপারেটরের কাছে কনসেশন চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ইজারাপ্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জিয়াউল হক বলেন, দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌম নিরাপত্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র ভারত, ইসরায়েল ও আমেরিকার স্বার্থে কাজ করা ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এপিএম টার্মিনালসের কাছে বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর কনসেশন বা ইজারা দেওয়া মারাত্মক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

লিখিত বক্তব্যে আশঙ্কা করা হয়, ‘ভবিষ্যতে এসব বিদেশি অপারেটর আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন এবং সার্বভৌম সিদ্ধান্ত গ্রহণে পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে বন্দরগুলো ব্যবহৃত হতে পারে। সুদানের মতো বন্দর থেকে পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদদাতা হয়ে উঠতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বন্দর বিদেশিদের হাতে চলে গেলে আমদানি-রপ্তানি থেকে আসা অর্থের বড় একটা অংশ বিদেশে চলে যাবে, যেটা এত দিন দেশের রিজার্ভে যোগ হতো। ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়বে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হবে, বেকারত্ব বাড়বে এবং স্থানীয় পরিচালনদক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ট্যারিফ বাড়ানোয় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুর্নীতি রোধ ও সক্ষমতা বাড়ানোর নামে বন্দর বিদেশিদের কাছে দেওয়া হাস্যকর এবং অগ্রহণযোগ্য। বন্দরে দুর্নীতি থাকলে সেটা বন্ধ করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশীয় পোর্ট অপারেটরদের সক্ষমতার ঘাটতি থাকলে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ