বর্তমানে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, একই দিনে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৩ জুন রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩টি পরীক্ষা হয়, যা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছিল অত্যন্ত দুর্বিষহ।

একটি পরীক্ষায় অংশ নিলে অন্যগুলো বাদ দিতে হয়। এভাবে একজন প্রার্থীর শ্রম, সময় ও অর্থ—সবই অপচয় হয়।

যানজট ও দূরত্বের কারণে একই দিনে দুটি পরীক্ষা দেওয়াও কষ্টকর হয়ে ওঠে। অথচ বিসিএস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যদি বিভাগীয় শহরে হতে পারে, তবে অন্যান্য পরীক্ষাও সেখানে আয়োজন করা সম্ভব।

চাকরির আবেদনের সময় পরীক্ষা কবে হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না। ফলে শেষ মুহূর্তে একাধিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় মিলে যাওয়ায় আবেদনকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান, যারা নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করবে। পিএসসিকে এ দায়িত্ব দিয়ে বা নতুন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠন করে সব নিয়োগ পরীক্ষার সময় ও তারিখ সমন্বয় করা জরুরি।

একই দিনে একাধিক পরীক্ষা নেওয়া মানে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি অবিচার। এ অনিয়ম বন্ধে কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।

মো.

মিলন হোসেন

শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: একই দ ন পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘের সম্মেলন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে, আশা নিরাপত্তা উপদেষ্টার

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে কক্সবাজারের অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি জাতিসংঘের একটি বৃহত্তর সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশবিশেষ। এই সম্মেলন রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এ সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ।

২৫ আগস্ট কক্সবাজারে ‘অংশীজন সংলাপ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনার জন্য প্রাপ্ত বার্তা’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকায় থাকা কূটনীতিকদের এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে ব্রিফ করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরে কক্সবাজারের সম্মেলনে যোগ দিয়ে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশ এবং জোট মিলিয়ে ৫০টি মিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, একসময় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক আলোচনার এজেন্ডা থেকে প্রায় বাদ পড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের জন্য সব সদস্যরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে ও সর্বসম্মতিক্রমে সাড়া পাওয়া যায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই সম্মেলন আহ্বানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্বের ১০৬টি দেশ এই সম্মেলনকে স্পন্সর করেছে। এখন যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, সম্মেলনটি রোহিঙ্গাদের জন্য এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য এই সমস্যার একটি স্থায়ী ও প্রকৃত সমাধান খুঁজে বের করার পথনির্দেশিকা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ। এই কারণে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর, তাদের কথা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের স্বপ্নগুলোকে সে সম্মেলনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে।

খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোই এ ধরনের সম্মেলনে অংশ নেয়। রোহিঙ্গারা তো আর সদস্য নয়। কিন্তু কাউকে তো তাদের ভয়েসটা নিয়ে যেতে হবে। আমরা এ ধরনের প্রক্রিয়ায় সে কাজটা করছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি।’

ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক রাষ্ট্রদূত জানান, কক্সবাজার সম্মেলনের শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ