বর্তমানে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, একই দিনে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৩ জুন রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৩টি পরীক্ষা হয়, যা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছিল অত্যন্ত দুর্বিষহ।
একটি পরীক্ষায় অংশ নিলে অন্যগুলো বাদ দিতে হয়। এভাবে একজন প্রার্থীর শ্রম, সময় ও অর্থ—সবই অপচয় হয়।
যানজট ও দূরত্বের কারণে একই দিনে দুটি পরীক্ষা দেওয়াও কষ্টকর হয়ে ওঠে। অথচ বিসিএস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যদি বিভাগীয় শহরে হতে পারে, তবে অন্যান্য পরীক্ষাও সেখানে আয়োজন করা সম্ভব।
চাকরির আবেদনের সময় পরীক্ষা কবে হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় না। ফলে শেষ মুহূর্তে একাধিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় মিলে যাওয়ায় আবেদনকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান, যারা নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করবে। পিএসসিকে এ দায়িত্ব দিয়ে বা নতুন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠন করে সব নিয়োগ পরীক্ষার সময় ও তারিখ সমন্বয় করা জরুরি।
একই দিনে একাধিক পরীক্ষা নেওয়া মানে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি অবিচার। এ অনিয়ম বন্ধে কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
মো.
মিলন হোসেন
শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যানজটে রেললাইনে আটকা পড়া অটোকে ট্রেনের ধাক্কা, মা ও ছেলে নিহত
ফেনীতে যানজটে রেললাইনে আটকা পড়া সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় ট্রেন। এতে হাফিজুল ইসলাম (৪২) ও তার মা ফাতেমাতুজ জোহরা (৬২) নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় শহরের গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালক।
নিহত হাফিজুল ইসলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পাঠানগড় গ্রামের মিয়াজী বাড়ির বাসিন্দা মৃত হারেস আহম্মেদ সন্তু মিয়ার ছেলে। তিনি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেট অতিক্রম করার সময় সড়কে আটকে পড়া একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় যানজটে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল অটোরিকশা। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে থাকা তিনজনই গুরুতর আহত হন।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথে তিনি মারা যান। আহত অটোচালককে আটক করা হয়েছে।
রেলের গেইটম্যান বাবু বলেন, ‘আমি ৭টা ২০ মিনিটে গেট বন্ধ করি। কিন্তু উল্টো পথে অনেক গাড়ি আসায় যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় একটি অটোরিকশা রেললাইনের ওপর আটকে যায়। বারবার সরাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ট্রেনটিকে লাল সিগনাল দিয়ে থামাতে চাইলেও দূরত্ব কম থাকায় তা সম্ভব হয়নি।’
ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের একজন হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। অপরজনের মাথা ও পায়ে মারাত্মক জখম রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেটে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও দু’জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তাদের খোঁজখবর নিতে অফিসার হাসপাতালে গেছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান বলেন, ট্রেন-অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত, দুইজন আহত আছেন। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। পুলিশ সেখানে গেছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।