শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাছিমা বেগম (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর-গোসাইরহাট সড়কের কুতুবপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় তাঁর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কে পড়ে যায়।

নিহত নাছিমা বেগম ডামুড্যা উপজেলার দায়মী চরভয়রা গ্রামের আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আট বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছুটি কাটিয়ে আজ সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

ডামুড্যা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ গ্রামে ছুটি কাটিয়ে আজ সকালে ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন নাছিমা বেগম। ডামুড্যা উপজেলা সদর থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে ঢাকার বাস ধরার জন্য জেলা শহরে যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর–গোসাইরহাট সড়কের কুতুবপুর এলাকায় অটোরিকশাটি পৌঁছালে নাছিমার গায়ে থাকা ওড়না অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। তখন তাঁর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তখন ডামুড্যা থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নাছিমা বেগমের স্বামী আসাদ হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গ্রামের বাড়িতে কৃষিকাজ করেন। তাঁর স্ত্রী ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। ছেলেকে নিয়ে আজ ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু এটাই যে তাঁর শেষ যাত্রা হবে, তা তিনি বুঝতে পারেননি।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে তাঁর মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে দোকান থেকে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

খাগড়াছড়ি জেলা শহরে একটি ফার্মেসির ভেতর থেকে সুমিত চাকমা (১৭) নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল গেট এলাকায় অবস্থিত হীরক মেডিকেল সেন্টার নামের ফার্মেসি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমিত চাকমার বাড়ি মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি দাকোপ এলাকায়। সে পুণ্যবসু চাকমার ছেলে।

দোকানের মালিক রুবেল চাকমা জানান, সকাল নয়টার দিকে দোকানে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে পাশের দোকানিদের পরামর্শে তিনি থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান।

রুবেল চাকমা আরও বলেন, দোকানের পেছনে সুমিতের থাকার জন্য একটি ছোট কক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। আগের রাতেও সে স্বাভাবিক ও হাসিখুশি ছিল।

খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, মালিকের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমিতের লাশ উদ্ধার করে। তবে পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি নন। মামলার বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ