‘এই সাফল্য কষ্টের ফসল’, বললেন কোচ লিটু
Published: 3rd, July 2025 GMT
ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ঋতুপর্ণা চাকমাদের দল। ফুটবল ইতিহাসের পাতায় নতুন করে নাম লিখিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা, যেটিকে অনেকে বলছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম বড় অর্জন।
বুধবার ইয়াঙ্গুনের থুওয়ান্না স্টেডিয়ামে বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দুই অর্ধে জোড়া গোল করে দলের জয়ে মূল ভূমিকা রাখেন পাহাড়ি কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা। এর আগেই বাহরাইনকে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল মেয়েরা। পরে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ ‘সি’-এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা।
এই ঐতিহাসিক জয়ের পর বৃহস্পতিবার রিকভারি সেশনেই দেখা গেল মেয়েদের মুখে তৃপ্তির হাসি। তবে এখনো পুরো উদ্যাপন হয়নি, অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার শিউলি আজিম জানিয়েছেন, বাকি এক ম্যাচ শেষ করেই উদ্যাপন করবেন মেয়েরা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন আমাদের গ্রুপ দেখলাম, তখন থেকেই লক্ষ্য ছিল যদি সবাই মিলে মন থেকে খেলি, তাহলে কোয়ালিফাই করা সম্ভব। এখন আমরা প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। যদিও একটা ম্যাচ বাকি আছে, তাই পুরোপুরি উদ্যাপন করিনি। লাস্ট ম্যাচ শেষে করব।’
নারী দলের সহকারি কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুও মেয়েদের প্রশংসা করে জানান, এই জয় শুধুই একটি ম্যাচ জেতা নয়, এটি বছরের পর বছর মেয়েদের কঠোর পরিশ্রমের প্রতিফলন। তার ভাষ্যে, আলহামদুলিল্লাহ, মেয়েরা খুব ভালো আছে, ভালো মুডেই আছে। গতকাল আমরা ভাইটাল একটা ম্যাচ জিতেছি, আজ তাই রিকভারি সেশন করেছি। মেয়েদের দীর্ঘদিনের কষ্টের ফসল হলো এই অর্জন। আমাদের এখনো একটি ম্যাচ বাকি আছে, সেটিও গুরুত্ব সহকারে খেলব।
২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। এই টুর্নামেন্টই আবার ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্ব হিসেবেও বিবেচিত হবে। ফলে ইতিহাসের দরজা একবার খুলতেই এখন বিশ্বমঞ্চের হাতছানিতে বিভোর ঋতুপর্ণারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।