পুতিন বরখাস্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর রুশ মন্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’
Published: 7th, July 2025 GMT
রাশিয়ার সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী রোমান স্তারোভোয়িতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানী মস্কোর উপকণ্ঠে একটি গাড়ির ভেতর তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। এর কয়েক ঘণ্টা আগে স্তারোভোয়িতকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
রোমান স্তারোভোয়িতের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর ছিলেন। রাশিয়ার এই অঞ্চলের বেশ কিছুটা অংশ দখল করে নিয়েছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি সেখানে ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে রুশ সেনাদের তীব্র লড়াই হয়েছে।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ ওদিন্তোসোভো এলাকায় নিজের প্রাইভেট কারের ভেতর সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী রোমান স্তারোভোয়িতের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাঁর শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্তারোভোয়িত আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও বার্তা সংস্থাগুলোও।
মরদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্রেমলিন থেকে পুতিনের সই করা একটি আদেশ জারি করা হয়। তাতে রোমান স্তারোভোয়িতকে মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। রুশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্তারোভোয়িতকে সরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে কুরস্ক অঞ্চলে দুর্নীতি এবং সীমান্ত অঞ্চল সুরক্ষিত করার তহবিল তছরুপের একটি সম্ভাব্য মামলার যোগসূত্র থাকতে পারে।
তবে এই বরখাস্তের সঙ্গে ‘আস্থাহীনতার’কোনো সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আর বরখাস্তের পর রোমান স্তারোভোয়িতের অধীনে উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আন্দ্রেই নিকিতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুতিন। তাঁকে ভারপ্রাপ্ত যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য গ য গমন ত র বরখ স ত কর ছ ন মন ত র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি