জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘‘বিবৃতি দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন না। আমরা বিবৃতিকে ভয় পাই না। আমরা মিডিয়ায় সংস্কার করেই ছাড়বো। নির্বাচন তারাই পিছিয়ে দিয়েছে, যারা সংস্কার পিছিয়ে দিয়েছে। আপনারা সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের রব তুলে নির্বাচনবিরোধী গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’’

সোমবার (৭ জুলাই) রাতে পাবনার শহীদ চত্বরে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি।

পাবনাবাসী তরুণ প্রজন্মকে ভারত, আওয়ামী লীগ আর মিডিয়ার ষড়যন্ত্র থেকে সচেতন থাকতে হবে উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘‘একটি দল আমাদের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলছেন এই অভ্যুত্থানের আইনগত ভিত্তি নেই। তারা নতুন করে মুজিববাদের ঠিকাদারী শুরু করেছে। আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আমরা আমাদের দ্বিতীয় বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করবো। আগামী ৩ আগস্ট চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসূচি দেবো।’’

আরো পড়ুন:

রাজনৈতিক দলগুলো চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে: নাহিদ ইসলাম

ভোটাররা ২০০ টাকা দিয়ে ভোট বিক্রি করেন: হাসনাত

মিডিয়াকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘অনেক মিডিয়াকর্মী নিরলসভাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের সাংবাদিকদের জন্য সকল সাংবাদিকের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। আপনারা বিবৃতি দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবেন না। আমরা বিবৃতিকে ভয় পাই না। আমরা মিডিয়ায় সংস্কার করেই ছাড়বো। মিডিয়াকে মাফিয়া চক্র মুক্ত করেই ছাড়বো। এই হাসনাত আব্দুল্লাহ থামবে না।’’ 

‘‘প্রিয় তরুণ প্রজন্ম আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। সত্যকে সত্য বলতে হবে। পাপের ইনকাম নিয়েও প্রশ্ন করতে হবে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হোক নিজের ঘর থেকে,’’ বলেন দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক।

পথসভায় সংগঠনটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.

তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বিকেল ৫টায় পাবনার পথসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এনসিপি নেতৃবৃন্দ পাবনায় পৌঁছান রাত দশটার পরে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহীদ চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষসহ শিক্ষার্থীরা।

সভা শেষে এনসিপি নেতারা কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে মঙ্গলবার কুষ্টিয়া ও আশপাশের জেলাগুলোতে পথসভা করার কথা রয়েছে।

শাহীন//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদয ত র পথসভ ন হ দ ইসল ম এনস প আম দ র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

সততা জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি: সিনিয়র সচিব 

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, “একটি দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে থাকতে হবে সততা, দায়িত্বশীলতা এবং দেশপ্রেম। এ তিনটি গুণ একজন মানুষের চরিত্র গঠনের মূল ভিত্তি এবং একটি জাতির অগ্রযাত্রার চালিকা শক্তি।”

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর-২০২৫ এর দপ্তর প্রধানদের নিয়ে সমন্বয় সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, “স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করা। কৃষি জমি সুরক্ষা, পরিবেশ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। অকৃষি জমির সুপরিকল্পিত ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং ভূমি সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাসোপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সর্বোত্র নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।”

ভূমি সংস্কার বোর্ডের মহাপরিচালক জানান, মাঠ পর্যায় ভূমি সংস্কার বোর্ডে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল সরবরাহের নিমিত্তে ৫৩টি জেলা থেকে মোটর সাইকেলের চাহিদা পাওয়া গিয়েছে এখনও ১১টি জেলা বাকি আছে। মোটরসাইকেল সরবরাহের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে জানান সভাপতি। সভাপতি ভূমি ভবনে অবস্থিত সব দপ্তরের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার গুরুত্বারোপ করে প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার আলাদা আলাদা লাইব্রেরির পরিবর্তে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী স্থাপন করার গুরুত্বারোপ করেন। বিভিন্ন দপ্তরের লোকবল নিয়োগে স্বচ্ছতা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের জন্য সাধুবাদ জানান।

এছাড়া ভূমি ভবনের বিভিন্ন কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবনের ভিতরে ও বাহিরের সৌন্দর্য বর্ধন, নিরাপত্তা জোর দার করার নির্দেশনা দেন।

রাজউক পূর্বাচলের ১৭টি মৌজার মধ্যে ১৬টি মৌজায় এ প্রর্যন্ত ৫৭৭৬৬টি দাগের মধ্যে ৩৮৮৮১টি খতিয়ানের খানাপুরী বুঝরাত সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৭৬৫টি খতিয়ানের তসদিক সম্পন্ন হয়েছে। পাতিয়া মৌজায় কিস্তোয়ার সমাপ্ত এবং কেন্দুয়া মৌজায় কিস্তোয়ার চলমান রয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাকারী সংস্থা করে ৭ টি বিভাগীয় ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এলএটিসি) অবকাঠামো নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলএটিসি ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব), ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১), সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ