বিএসএফের পুশইনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বা নারী সোনালি দীর্ঘ ৫ মাস ৮ দিন পর নিজ দেশে ফিরে গেছেন। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

‘দৃশ্যম থ্রি’ নিয়ে নতুন খবর পাওয়া গেল

১ লাখ কোটি টাকার পারিবারিক ব্যবসাও সামলান এই তারকা-পত্নী

এ সময় তার সঙ্গে ফিরেছেন ৮ বছর বয়সী ছেলে সাব্বির শেখ। সীমান্তের শূন্যরেখায় সোনালিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সময় আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। 

গত ২৬ জুন সোনালিসহ ৬ জন ভারতীয়কে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয় ভারতীয় কুড়িগ্রাম থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আলীনগরে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে ২০ আগস্ট পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পরে তাদেরকে ফেরত নিতে রাজি হয়নি বিএসএফ। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুজন শিশু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

ওই ছয়জন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার পাকুরের বাসিন্দা। তারা হলেন— দানিশ শেখ (২৮), তার স্ত্রী সোনালি বিবি (২৬), সুইটি বিবি (৩৩), মো.

কুরবান দেওয়ান (১৬), সোনালি বিবির সন্তান সাব্বির শেখ (৮) ও সুইটি বিবির সন্তান মো. ইমাম দেওয়ান (৬)।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর শুনানি শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম ৪ ভারতীয়র জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়ার পর ওই রাতেই তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে আত্মীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়াগোলা এলাকার বাসিন্দা ফারুক হোসেনের বাড়িতে উঠেছিলেন। তবে, দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ আবারও তাদেরকে হেফাজতে নেয়। ২ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে তাদেরকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই নয়াগোলায় তারা অবস্থান করছিলেন।

এ বিষয়ে ৫৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক বেলার বলেছেন, মানবিক কারণে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি ও তার ৮ বছরের ছেলে সাব্বির শেখের কাগজপত্র যাচাই শেষে শুক্রবার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি চারজনের কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে তাদেরকেও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ প ইনব বগঞ জ পর ব র র ক ছ ত দ রক

এছাড়াও পড়ুন:

কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুখীরাম উরাং (২৫) নামের বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুখীরামের বাড়ি কর্মধার মুরইছড়া বস্তি এলাকায়।

স্থানীয় লোকজনের বরাতে কুলাউড়া থানা-পুলিশ জানায়, সুখীরাম বেলা দেড়টার দিকে মুরইছড়া সীমান্তের ১ হাজার ৮৪৪ ও ১ হাজার ৮৪৫ নম্বর মূল সীমান্তখুঁটি এলাকায় গরু চরাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে বিএসএফ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তাঁর পিঠে গুলি লাগলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে সুখীরাম মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মুরইছড়া সীমান্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের আওতায় পড়েছে। এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাটি শুনেছেন। সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ মারা যেতে পারেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত
  • গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
  • পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ডাকসু
  • মামলা নিষ্পত্তি না হলে দেশে ফিরতে পারবেন না ৬ ভারতীয়
  • প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে এএসআইয়ের ব্যাখ্যা
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে ঠেলে পাঠল বিএসএফ
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে গুনতে হলো অতিরিক্ত টাকা