ভারতের উড়োজাহাজ চলাচলে বিপর্যয়, ইন্ডিগোকে সাময়িক ছাড় দিল সরকার
Published: 5th, December 2025 GMT
দেশের বিমানযাত্রীদের দুর্ভোগ দূর করতে অবশেষে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিমান উড়াল সংস্থা ডিজিসিএ। পরিস্থিতির উন্নতিতে নতুন উড়াল পদ্ধতিতে আংশিক ছাড় দিল তারা, তবে এই ছাড় এককালীন। দেশের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর আবেদন ও যাত্রীদের হয়রানি কমাতে ডিজিসিএর এই পদক্ষেপ।
সরকারি নির্দেশিকায় পাইলট ও বিমান ক্রুদের সাপ্তাহিক বাধ্যতামূলক ছুটি, কাজের ঘণ্টা ও রাত্রিকালীন উড়ালের যে নতুন নিয়মাবলি চালু করা হয়েছিল, আপাতত তা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেমন নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পাইলটরা ছুটি নিন বা না নিন, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম তাঁদের দিতেই হবে। এই নিয়ম আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। পাইলটরা ছুটি নিলে সেই ঘণ্টাগুলো ওই ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রামের মধ্যে গ্রাহ্য করা হবে। এতে পাইলটদের অভাব দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাত একটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট ল্যান্ডিংয়ের বিষয়টি এবং সপ্তাহে কতবার তা করা যাবে, সে–সংক্রান্ত নিয়মও আপাতত বলবৎ করা হবে না। ফলে চলমান যে সমস্যা রয়েছে, তার সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নতুন নিয়মের জন্য দেখা যাচ্ছিল, উড়োজাহাজ তৈরি থাকলেও পাইলটদের পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ছুটি দিতে হচ্ছিল।
প্রধানত পাইলট ও কেবিন ক্রুদের জন্য নতুন এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিজিসিএর দৌলতে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল যাতে পাইলট ও ক্রুরা ক্লান্তি ও অবসাদে না ভোগেন। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাতে কমে। কিন্তু ইন্ডিগোসহ অন্যান্য বিমান সংস্থার আপত্তিতে সেই বিধিনিয়ম কার্যকর করা যায়নি।
চলতি বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয়বার বাধ্যতামূলকভাবে ওই বিধিনিয়ম চালু করতেই ধসে পড়ে বিমান চলাচল ব্যবস্থা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইন্ডিগো। তারাই দেশের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ সংস্থা। দিনে দেশে–বিদেশে তাদের ২ হাজার ৩০০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। তাদের মোট বিমানের সংখ্যা ৪১৭।
প্রায় দুই বছর সময় পেলেও ইন্ডিগো কেন নিজেদের তৈরি করতে পারেনি, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ডিজিসিএ এবার এককালীন যে ছাড় দিয়েছে, তা যাত্রীদের সাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে। সে কথা ইন্ডিগোসহ অন্য সব সংস্থাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিজিসিএ বলেছে, এই ছাড় ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর সংস্থাকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে বিধিনিয়ম কীভাবে পুরোপুরি চালু করা যাবে, সে বিষয়ে একটি রোডম্যাপ জমা দিতে হবে।
আজ শুক্রবার ইন্ডিগোর ৬০০–এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। সকালেই জানানো হয়, রাত ১২টা পর্যন্ত দিল্লি থেকে সংস্থার কোনো বিমান ছাড়বে না। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই থেকেও কোনো উড়োজাহাজ না ছাড়ার কথা জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবারও এই সংস্থা ৫৫০টি ফ্লাইট বাতিল করেছিল। বারবার তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
ইন্ডিগোর বেহাল অবস্থার দরুণ অন্যান্য বিমান পরিবহন সংস্থার টিকিটের দামও আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। কোনো কোনো সূত্রের খবর, দিল্লি–মুম্বাইয়ের মধ্যে যাওয়া–আসার টিকিটের ভাড়া ৬০ হাজার রুপি উঠে যায়। ডিজিসিএর এককালীন ছাড়ে পরিস্থিতি শোধরাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের উড়োজাহাজ চলাচলে বিপর্যয়, ইন্ডিগোকে সাময়িক ছাড় দিল সরকার
দেশের বিমানযাত্রীদের দুর্ভোগ দূর করতে অবশেষে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিমান উড়াল সংস্থা ডিজিসিএ। পরিস্থিতির উন্নতিতে নতুন উড়াল পদ্ধতিতে আংশিক ছাড় দিল তারা, তবে এই ছাড় এককালীন। দেশের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর আবেদন ও যাত্রীদের হয়রানি কমাতে ডিজিসিএর এই পদক্ষেপ।
সরকারি নির্দেশিকায় পাইলট ও বিমান ক্রুদের সাপ্তাহিক বাধ্যতামূলক ছুটি, কাজের ঘণ্টা ও রাত্রিকালীন উড়ালের যে নতুন নিয়মাবলি চালু করা হয়েছিল, আপাতত তা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যেমন নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পাইলটরা ছুটি নিন বা না নিন, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম তাঁদের দিতেই হবে। এই নিয়ম আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। পাইলটরা ছুটি নিলে সেই ঘণ্টাগুলো ওই ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রামের মধ্যে গ্রাহ্য করা হবে। এতে পাইলটদের অভাব দূর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাত একটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট ল্যান্ডিংয়ের বিষয়টি এবং সপ্তাহে কতবার তা করা যাবে, সে–সংক্রান্ত নিয়মও আপাতত বলবৎ করা হবে না। ফলে চলমান যে সমস্যা রয়েছে, তার সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নতুন নিয়মের জন্য দেখা যাচ্ছিল, উড়োজাহাজ তৈরি থাকলেও পাইলটদের পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ছুটি দিতে হচ্ছিল।
প্রধানত পাইলট ও কেবিন ক্রুদের জন্য নতুন এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিজিসিএর দৌলতে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল যাতে পাইলট ও ক্রুরা ক্লান্তি ও অবসাদে না ভোগেন। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাতে কমে। কিন্তু ইন্ডিগোসহ অন্যান্য বিমান সংস্থার আপত্তিতে সেই বিধিনিয়ম কার্যকর করা যায়নি।
চলতি বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয়বার বাধ্যতামূলকভাবে ওই বিধিনিয়ম চালু করতেই ধসে পড়ে বিমান চলাচল ব্যবস্থা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইন্ডিগো। তারাই দেশের সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ সংস্থা। দিনে দেশে–বিদেশে তাদের ২ হাজার ৩০০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। তাদের মোট বিমানের সংখ্যা ৪১৭।
প্রায় দুই বছর সময় পেলেও ইন্ডিগো কেন নিজেদের তৈরি করতে পারেনি, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ডিজিসিএ এবার এককালীন যে ছাড় দিয়েছে, তা যাত্রীদের সাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে। সে কথা ইন্ডিগোসহ অন্য সব সংস্থাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিজিসিএ বলেছে, এই ছাড় ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর সংস্থাকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে বিধিনিয়ম কীভাবে পুরোপুরি চালু করা যাবে, সে বিষয়ে একটি রোডম্যাপ জমা দিতে হবে।
আজ শুক্রবার ইন্ডিগোর ৬০০–এর বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। সকালেই জানানো হয়, রাত ১২টা পর্যন্ত দিল্লি থেকে সংস্থার কোনো বিমান ছাড়বে না। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেন্নাই থেকেও কোনো উড়োজাহাজ না ছাড়ার কথা জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবারও এই সংস্থা ৫৫০টি ফ্লাইট বাতিল করেছিল। বারবার তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
ইন্ডিগোর বেহাল অবস্থার দরুণ অন্যান্য বিমান পরিবহন সংস্থার টিকিটের দামও আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। কোনো কোনো সূত্রের খবর, দিল্লি–মুম্বাইয়ের মধ্যে যাওয়া–আসার টিকিটের ভাড়া ৬০ হাজার রুপি উঠে যায়। ডিজিসিএর এককালীন ছাড়ে পরিস্থিতি শোধরাবে বলে মনে করা হচ্ছে।