কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে ব্রিটেনে কারিগরি শিক্ষার উত্থান
Published: 6th, December 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুতগতিতে কর্মক্ষেত্রের দখল নেওয়ায় চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করা তরুণদের মধ্যে। অনেকেই ‘হোয়াইট কলার’ চাকরিকে নিরাপদ মনে করছেন না আর। বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং হাতে–কলমে দক্ষতার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, এমন কারিগরি পেশার দিকে ঝুঁকছেন।
এমনই একজন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মারিনা ইয়ারোশেঙ্কো। এআই যে অনেক অফিসভিত্তিক কাজ দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। বর্তমানে মারিনা লন্ডনের সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টার কলেজে প্লাম্বিং কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ইউক্রেন থেকে আসা মারিনা বলছিলেন, ‘এটা এমন একটা কাজ, যেটা এআই নিতে পারবে না।’ তাঁর মতে, প্লাম্বিং বা প্রকৃত প্রকৌশল কাজের সূক্ষ্মতা এবং শারীরিক বাস্তবতা কোনো যন্ত্র পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারে না। মারিনা বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই এআইকে কাজে লাগাব, কিন্তু অনেক কাজ আছে, যা শুধুই মানুষ করতে পারে—যেমন আসল প্লাম্বিং, তড়িৎকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং।
আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে নতুন যুগের পড়াশোনা: কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডে?২০ নভেম্বর ২০২৫এআইয়ের প্রভাব: বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাগ্রহ, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি বাড়ছেব্রিটেনে এআইয়ের প্রভাবে বড় ধরনের চাকরির কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পারসোনেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিআইপিডি) সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশটির ছয়জনের একজন নিয়োগদাতা মনে করছেন, আগামী ১২ মাসে এআইভিত্তিক টুলস ব্যবহারের কারণে তাঁরা কর্মীর সংখ্যা কমাতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে সিডব্লিউসি (সিটি অব এয়েস্ট মিনস্টার কলেজ) গত তিন বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং, কনস্ট্রাকশন এবং বিল্ট এনভায়রনমেন্ট কোর্সে ভর্তি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। কলেজের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ডেভিস মনে করেন, এআইয়ের অগ্রগতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়সংকুল ডিগ্রির প্রতি তরুণদের অনাগ্রহ—এ দুটি কারণেই কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
লন্ডনের ইউনাইটেড কলেজেস গ্রুপের অংশ সিডব্লিউসি মূলত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
অন্যদিকে ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) আগস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রতি দুজনের একজন এআইয়ের কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে উদ্বিগ্ন ২৫–৩৫ বছর বয়সীরা।
লন্ডনের কিংস কলেজের প্রভাষক এবং এআই গবেষক বোক ক্লেইন টিসেলিংক বলেন, এখন তরুণদের মধ্যে অনেক উদ্বেগ রয়েছে যে তাদের চাকরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাচ্ছে। কিংস কলেজ টিসেলিংকের গত অক্টোবরে এক গবেষণা প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এআই-চালিত কর্মী ছাঁটাই জুনিয়র পদগুলোকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে তরুণদের ক্যারিয়ারের সিঁড়িতে পা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থী ওয়ার্কশপে কাজ শিখছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইচ্ছা না থাকলেও ১৫ বছর পর যে টুর্নামেন্টে খেলবেন কোহলি
১৫ বছর পর আবারও ভারতের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলবেন বিরাট কোহলি। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দিল্লির হয়ে খেলবেন তিনি। দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ) কোহলির খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এর আগে শর্ত দেন, জাতীয় দলে খেলতে হলে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে। গতকাল ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’কে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার ইচ্ছার কথা এর আগেই বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কমিটিকে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু কোহলি শুরুতে এই টুর্নামেন্টে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
সংবাদমাধ্যমটিকে সূত্রটি বলেছে, ‘সমস্যাটি বিজয় হাজারে ট্রফিকে ঘিরে। সহজ কথায়, সে (কোহলি) এই টুর্নামেন্টে খেলতে চায় না। কিন্তু রোহিত শর্মা খেলতে চাইলে শুধু একজন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যতিক্রম হবে? আর আমরা অন্য খেলোয়াড়দের কি বলব, কেউ একজন তোমাদের বাকি সবার চেয়ে আলাদা?’
৩৭ বছর বয়সী কোহলি এখন ভারতের হয়ে শুধু ওয়ানডে খেলেন। বিসিসিআই চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ঘরোয়ায় খেলা বাধ্যতামূলক করেছে। ডিডিসিএ সচিব অশোক শর্মা ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন, ‘তিনি অবশ্যই কিছু ম্যাচ খেলবেন। তবে পুরো টুর্নামেন্টে খেলবেন কি না, তা নিশ্চিত নই। এটা ভারতের ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুনক্রাইস্টচার্চ টেস্ট: ১১ উইকেট পতনের দিনে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড৫৬ মিনিট আগেগত ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলা কোহলি বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বশেষ খেলেন ২০০৯-১০ মৌসুমে। সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে। সে বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এই টুর্নামেন্টে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন কোহলি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পান কোহলি