আমার শরীরের প্রতিটি হাড় ভেঙেছে: টুইঙ্কেল
Published: 6th, December 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। বেশ আগে অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এখন সংসার আর লেখক হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় তার লেখা ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টুইঙ্কেল খান্না। এ আলাপচারিতায় বইটির এমন নামকরণ করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী। কেবল তাই নয়, এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন—তার শরীরের সব কটি হাড়ই ভেঙেছে।
আরো পড়ুন:
অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে বিতর্কে শাহরুখপুত্র
সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা তারা
টুইঙ্কেল খান্না বলেন, “আমার শরীরের প্রতিটি হাড় ভেঙেছে, প্রতিটা হাড়ই। কিছুই বাকি নেই। আমার টেইলবোন, কলারবোন, হাত-পা ভেঙেছে। আমার বাঁ দিকে ৪০টা লিগামেন্ট টিয়ার, ডান দিকে ১০টা।”
হাড় ভাঙার পর ঘরবন্দি জীবনে লেখার প্রতি টুইঙ্কেলের ভালোবাসার বীজ বপন হয়েছিল। স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “দীর্ঘ সময় আমাকে প্রচুর কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে বলব, আমাকে বসে পড়ার সময়ও দিয়েছে। কারণ আমি নাড়াচাড়া করতে পারতাম না, তাই কোনো উপায় ছিল না। আমি আজ যা, তা এটাই আমাকে বানিয়েছে।”
কীভাবে শরীরের হাড় ভেঙেছিল, তা জানিয়ে টুইঙ্কেল খান্না বলেন, “যতটুকু মনে পড়ে, জানালা থেকে পড়ে গিয়ে আমার কলারবোন ভেঙেছিল। একটা সাইকেলের ওপর লাফিয়ে পড়েছিলাম, তারপর মাটিতে। তখন আমার বয়স আট বা নয়। ওটাই আমার প্রথম হাড় ভাঙার ঘটনা। তারপর তো চলতেই থাকল।”
বইটির নামকরণের ইতিহাস জানিয়ে টুইঙ্কেল খান্না বলেন, “মিসেস ফানিবোনস’ ও ‘বাবা টুইঙ্ক দেব’ নাম আমারই দেওয়া। আমি টুইটারে (এক্স) অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে দেখি, ‘টুইঙ্কেলখান্না’ নামটি নিচ্ছে না। কী করা যায় তাই ভাবছিলাম। এরপর নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকি। তারপর মনে হলো—আমি তো একটু মজার। কারণ আমার এতগুলো ‘ফানিবোনস’ আছে। সেখান থেকেই জন্ম হয়, ‘মিসেস ফানিবোনস’।”
২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি মূলত বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা কলামের সংকলন। প্রকাশের পর বইটি বেস্ট সেলার হয়। দশ বছর পর প্রকাশিত হয় বইটির সিক্যুয়েল ‘মিসেস ফানিবোনস রিটার্ন’। সম্প্রতি বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। এখন পর্যন্ত টুইঙ্কেল খান্নার পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার ৬ নম্বর বইয়ের কাজ চলমান, এটি একটি উপন্যাস।
গত বছর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ফিকশন রাইটিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন টুইঙ্কেল। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। স্ত্রীর হাত ধরে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অক্ষয়।
ডিম্পল কাপাডিয়া ও রাজেশ খান্না দম্পতির কন্যা টুইঙ্কেল খান্না। ব্যক্তিগত জীবনে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা। এ দম্পতির প্রথম সন্তান আরাভ কুমারের জন্ম হয় ২০০২ সালে। তাদের নিতারা কুমার নামে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ২০১২ সালে তার জন্ম হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ ত বইট র
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চার আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পরিবারটির সদস্যদের নামে চারটি হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেটের সদস্যসচিব ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান। তিনি মুঠোফোনে বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-২৪ জাগরণী হল’, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী হল’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’ এবং শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’ নামকরণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শেখ পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব স্থাপনার নামফলক খুলে ফেলেন তাঁরা। পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন নাম আহ্বান করে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দেওয়া নামের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশক্রমে গতকাল সিন্ডিকেট সভায় হলগুলোর নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের নাম থেকে বঙ্গবন্ধু শব্দটি তুলে দেয় প্রশাসন।
আরও পড়ুনজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি১৮ জুন ২০২৫