এবার পাকিস্তানের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির
Published: 5th, December 2025 GMT
আরও ক্ষমতাধর হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি তিনি এখন দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীরও (সিডিএফ) প্রধান। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকার তাঁকে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান করার প্রস্তাব দেন। সেদিনই ওই প্রস্তাব দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠানো হয় এবং তিনি প্রস্তাবে অনুমোদন দেন।
চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাতের কিছুদিন পর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন জেনারেল আসিম মুনির। তিনি পাঁচ বছরের জন্য দেশটির সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় এবং ছয় দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির প্রথম ফিল্ড মার্শাল।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর বর্তমান পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের (২০২৬) মার্চে। তারপর তাঁর বৃদ্ধি করা মেয়াদ কার্যকর হবে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর বর্তমান পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর (২০২৬) মার্চে। তারপর তাঁর বৃদ্ধি করা মেয়াদ কার্যকর হবে।এর আগে গত ১২ নভেম্বর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সংবিধানের ২৪৩ নম্বর ধারা সংশোধনীর মাধ্যমে আসিম মুনিরকে দেশটির আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়।
সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে শাহবাজ শরিফ সরকার আসিম মুনিরের যেকোনো অপরাধ বা প্রশাসনিক অভিযোগের ক্ষেত্রে আজীবন আইনগত দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেছে।
২০২২ সালে আসিম মুনির আইএসআই প্রধান থেকে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি পান।
এরপর ২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাত ঘটে, যা পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ নামে অভিহিত করে। ভারতের দিক থেকে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই সংঘাতের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই, গত ২০ মে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পর পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়।
আরও পড়ুনআসিম মুনির: পাকিস্তানের নতুন ‘সুলতান’০৩ ডিসেম্বর ২০২৫আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করেন, যা ছিল একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।
ফিল্ড মার্শাল একটি পাঁচ তারকা সামরিক পদমর্যাদা। এটি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ। এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও বিরল পদ, যা সাধারণত ব্যতিক্রমী সামরিক অবদানের জন্য দেওয়া হয়। পদটি জেনারেলের চেয়েও উচ্চতর। এটি একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা হিসেবে বিবেচিত হয়, নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি খুব কম ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনসংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল১৯ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল আস ম ম ন র দ শট র প র প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলা একাডেমিতে ১০ ডিসেম্বর থেকে ‘বিজয় বইমেলা’
মহান বিজয়ের মাসে নতুন প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং জ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বিজয় বইমেলা-২০২৫’। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) উদ্যোগে বাংলা একাডেমি মাঠে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাপুস থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি কেবল বই কেনা-বেচার কোনো সাধারণ বাণিজ্যিক আয়োজন নয়; বরং এটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও মননশীলতা তৈরির পদক্ষেপ। এবারের মেলায় দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ ছাড়াও থাকবে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র প্রদর্শন, ঐতিহ্যবাহী সংগীত এবং লেখক-পাঠকের সরাসরি মত বিনিময়।
সংবাদ সম্মেলনে বাপুস দেশের প্রকাশনা শিল্প ও পাঠক সৃষ্টি নিয়ে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে। এ সময় তারা ২০২৬ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজনের ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে ২০২৬ সালের মে মাসে ‘ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস বুক ফেয়ার’ এবং ‘সাউথ-ইস্ট এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ার’ আয়োজনের কথা জানায়।
মেলার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা এবং ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজয় বইমেলা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাজ্জাক রুবেল। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান সমন্বয়কারী আবুল বাশার ফিরোজ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক কাউছার আহম্মেদ, সদস্য সাবা খালেদ প্রমুখ।
ঢাকা/তারা//